
বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় কি প্রাণ রয়েছে? তা জানতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। ৫ বিলিয়ন ডলারের এই অভিযানের লক্ষ্য হল বৃহস্পতির অন্যতম উপগ্রহ ইউরোপায় প্রাণের অনুসন্ধান করা।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার ইউরোপা ক্লিপার মহাকাশযানটি কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। রোবোটিক সৌর-চালিত প্রোবটি ২০৩০ সাল নাগাদ বৃহস্পতির চারপাশে কক্ষপথে প্রবেশ করার কথা রয়েছে। গত সপ্তাহে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হলেও হারিকেন মিল্টনের কারণে তা স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতির ৯৫টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত চাঁদের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম ইউরোপা পৃথিবীর ব্যাসের মাত্র এক চতুর্থাংশ হলেও এর লবণাক্ত তরল পানির বিশাল বৈশ্বিক মহাসাগরে পৃথিবীর মহাসাগরের দ্বিগুণ পানি থাকতে পারে। পৃথিবীর মহাসাগরগুলি আমাদের গ্রহে জীবনের জন্মস্থান বলে মনে করা হয়।
ইউরোপা, যার ব্যাস প্রায় ১৯৪০ মাইল আমাদের চাঁদের প্রায় ৯০ শতাংশ আমাদের সৌরজগতের পৃথিবীর বাইরে জীবনের সম্ভাব্য আবাস হিসাবে দেখা হয়েছে। এর বরফের খোলসটি ১০ থেকে ১৫ মাইল পুরু, ৪০ থেকে ১০০ মাইল গভীর বলে মনে করা হয়।
নাসার মতে, ইউরোপা ক্লিপারের মূল বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য হল বৃহস্পতির বরফের চাঁদ ইউরোপার পৃষ্ঠের নীচে এমন কোনও স্থান রয়েছে কিনা যা জীবনের পক্ষে সমর্থন করতে পারে তা নির্ধারণ করা।