ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পে মৃত ৪৫ জনেরও বেশি, ৫.৬ মাত্রার কম্পনে আহতের সংখ্যা ছাড়াল সাতশোর ঘর

সোমবারের ভূমিকম্পটি রাজধানী জাকার্তার প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিয়ানজুরে ভূমিতে আঘাত হানে এবং ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার বা ৬.২ মাইল গভীরতায় ছিল এর উৎস।

Web Desk - ANB | Published : Nov 21, 2022 3:52 PM IST

সোমবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৪৬ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান সুহারিয়ানতোকে উদ্ধৃত করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে "সিয়ানজুর আঞ্চলিক হাসপাতালে ৪৬ জন মৃত ব্যক্তি এবং প্রায় ৭০০ জন আহত ব্যক্তি রয়েছে। ধসে পড়া বাড়িগুলির আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন"।

সোমবারের ভূমিকম্পটি রাজধানী জাকার্তার প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিয়ানজুরে ভূমিতে আঘাত হানে এবং ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার বা ৬.২ মাইল গভীরতায় ছিল এর উৎস। আবহাওয়া ও ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা বিএমকেজি বলেছে, ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই।

একটি বিবৃতিতে, ন্যাশনাল ডিজাস্টার এজেন্সি বলেছে যে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেট্রো টিভির ফুটেজে দেখা গেছে সিয়ানজুরের কিছু বিল্ডিং প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িগুলির বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচেই আশ্রয় নিয়েছেন।

বিএমকেজি জানিয়েছে ভূমিকম্পের পর দুই ঘণ্টায় ২৫টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া তথাকথিত "প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার", একটি অত্যন্ত ভূমিকম্পের দিক থেকে সক্রিয় অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর ভূত্বকের বিভিন্ন প্লেট মিলিত হয় এবং প্রচুর পরিমাণে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি তৈরি করে।

সিয়ানজুর প্রশাসনের প্রধান হারমান সুহরমান বলেছেন যে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র একটি হাসপাতালে প্রায় ২০ জন মারা গেছে এবং কমপক্ষে ৩০০ জনকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের তলায় চাপা পড়ায় বেশিরভাগই গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই শক্তিশালী কম্পন কয়েক সেকেন্ডের জন্য অনুভূত হয়, যার কারণে বাড়ি এবং অফিসে বসে থাকা লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন আতঙ্কে। এই ভূমিকম্পের সময় অনেকেই তাদের অফিসে কাজ করছিলেন। ভূমিকম্পের কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বহু বিল্ডিং কাঁপতে শুরু করে। এতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, ভূমিকম্পের কারণে ভবনে রাখা আসবাবপত্রও স্থান থেকে সরে যেতে থাকে, বর্তমানে কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।

জানিয়ে রাখি, এর আগে শুক্রবার রাতে পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় সাগরের তলদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলেও ওই দিন কোনও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইউএসজিএস অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে বলেছে, এর পর আরেকটি ধাক্কা লেগেছে, যার তীব্রতা ছিল ৫.৪। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং জিওফিজিক্স এজেন্সি কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করেনি।

আরও পড়ুন

চাঁদে মনুষ্যহীন মহাকাশযান পাঠাল নাসা, এই অভূতপূর্ব অভিযানের নাম দিলেন তারা আর্টেমিস প্রকল্প

নতুন সেনাপ্রধান পেতে চলেছে পাকিস্তান, পদের জন্য এই পাঁচটি নাম সুপারিশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

Share this article
click me!