জ্যোতিবিদরা এই এক্স-রের জন্য একেকজন নিজেদের গোটা কর্মজীবন উৎসর্গ করেন। এখন মহাবিশ্বের সবথেকে বড় এক্স-রে মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
সাধারণের জন্য এক্স-রে শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল হাড় বা কঙ্কালের ছবি তোলা। এবার এই এক্স-রে-র মাধ্যমে ধরা পড়ল মহাবিশ্বের মহাজাগতিক শক্তি। এক্স-রে শব্দটি বলতে সাধারণত বোঝায় ব্ল্যাক ফিল্মের উপর আমাদের হাড়ের ছবি। যা মূলত চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য, এক্স-রে মহাজাগতিক তথ্যের ভান্ডারের প্রতিনিধিত্ব করে। আলোর 'স্বাভাবিক' তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দৃশ্যমান নয় এমন একটি বস্তু এক্স-রে নির্গত করতে পারে এবং তার নিজস্ব গোপনীয়তা প্রকাশ করতে পারে।
জ্যোতিবিদরা এই এক্স-রের জন্য একেকজন নিজেদের গোটা কর্মজীবন উৎসর্গ করেন। এখন মহাবিশ্বের সবথেকে বড় এক্স-রে মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। মানচিত্রে উচ্চ শক্তির ৯০০০০০ এরও বেশি মহাজাগতিক উৎসের ছবি ধরা পড়েছে। পাশাপাশি ৭০০০০০টিরও বেশি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল রয়েছে।
ইরোসিটা নামের জার্মান কনসোর্টিয়াম এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত এক্স-রে মানচিত্রটি ইরোসিটা এক্স-রে টেলিক্লোপের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি রাশিয়ান-জার্মান উপগ্রহ স্পেকট্রাম-আরজিতে লাগান হয়েছে।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সোসাইটি এই মিশনে সাহায্য করেছে। তার অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে বলেছে ইরোসিটা অল-স্কাই সার্ভে ক্যাটালগ এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত এক্স-রে উৎসগুলির বৃহত্তম সংগ্রহ। যা সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে অর্ধেক মহাবিশ্বের একটি এক্স-রে চিত্রঃ ইরোসিটা আকাশ - থেকে ডেটা প্রকাশের প্রথম প্রকাশ। উচ্চ-শক্তি মহাজাগতিক উৎসগুলির সর্বকালের বৃহত্তম ক্যাটালগ। পর্যবেক্ষণের প্রথম ৬ মাসে তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। ইরোসিটা টেলিস্কোপ ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১১ জুনের মধ্যে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সেখানে দেখা গেছে ৭১০০০০ সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। উচ্চ শক্তির মহাজাগতিক উৎস ছাড়াও ধরা পড়েছে ১৮০০০০ নক্ষত্র নিয়ে গঠিত হয়েছে। এগুলি সবই ধরা পড়েছে আমাদের মিল্কিওয়েতে। মানচিত্রে ১২০০০টি গ্যালাক্সির ক্লাস্টার ও অন্যান্য বহিরাগত শ্রেণীর থেকে নির্গত কিছু এক্স-রে স্বর্গীয় বস্তু রয়েছে।