India vs Maldives: ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, চিন থেকে ফিরেই মালদ্বীপ প্রধানের হুমকি ভারতকে

মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কটাক্ষ করেছিলেন। তাঁরা অশালীন মন্তব্যও করেছেন। তারপরই পাল্টা সরব হয় ভারতের নেটিজেনরা।

 

Saborni Mitra | Published : Jan 14, 2024 12:54 PM IST

ভারত- মালদ্বীপ বিতর্তে নয়া মোড়। চিন সফর থেকে ফিরেই হুংকার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। তিনি এবার দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। পাশাপাশি ভারতের নাম না করে বলেছেন, কেউ তাঁর সরকার বা দেশকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম চিন সফর।

মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কটাক্ষ করেছিলেন। তাঁরা অশালীন মন্তব্যও করেছেন। তারপরই পাল্টা সরব হয় ভারতের নেটিজেনরা। যদিও তিন মন্ত্রীকে মালদ্বীপ সরকার বরখাস্ত করে। তবে পাশাপাশি সেই সময় মালদ্বীপ প্রশাসন জানিয়ে দেয় তারা ছোট দেশ হতে পারে, কিন্তু তাদেরকে ধমক দেওয়ার সাহস কারও নেই।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যঃ

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পাবলিক সেক্রেটারি আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম বলেছেন, 'ভারতীয় সামরিক কর্মীরা আর মালদ্বীপে থাকতে পারবে না। এটি রাষ্ট্রপতি ডক্টর মহম্মদ মইজ্জু ও প্রশাসনের নীতি।' মালদ্বীপে প্রায় ৪৪ হাজার ভারতীয় সেনা উপস্থিত রয়েছে।

যদিও আগেই মালদ্বীপ জানিয়েছিল তাদের দেশে কোনও বিদেশী সেনা বাহিনী রাখা হবে না। এই ঘোষণার প্রায় দুই মাস পরে রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসেডিন্ট ক্ষমতায় এসেছেন ভারত বিরোধী স্লোগানতুলে। তাঁর স্লোগানই ছিল 'ইন্ডিয়া আউট'। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার ছিল মইজ্জুর প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ভারত মালদ্বীপ বিবাদের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে চাইলে দ্বীপরাষ্ট্রটি।

মালদ্বীপ ও ভারত সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তৈরি করেছে। এই প্রতিনিধিদের প্রথম পর্বের বৈঠক মালেতে রবিবার হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ার উপস্থিত ছিলেন বলেও রিপোর্ট করা হয়েছে। সেখানেই সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ১৫ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চিন সফর সেরেই ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বেজিং-এর হাতই দেখছে। কারণ চিন দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে থাকার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

Share this article
click me!