নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে তিক্ত হয়ে উঠেছে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক । দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বে যখন প্রায় একেবারেই ইতি, সেই আবহেই চিন-কে নিজের ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ সফর ঘিরে তিক্ত হয়ে উঠেছে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক । প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি ছবি সম্পর্কে সম্মানহানিকর মন্তব্য করেছেন মলদ্বীপের তিন জন মন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বে যখন প্রায় একেবারেই ইতি, সেই আবহেই চিন-কে নিজের ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর কথায়, মলদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে চিন। সেইজন্য এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও খুবই ঘনিষ্ঠ। মলদ্বীপ এবং চিন, দুটো দেশই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
সম্প্রতি চিন দেশ থেকে ৫ দিনের সফর করে এসেছেন মুইজ্জু। ১৯৭২ সালে চিন এবং মলদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সেই দিন থেকেই চিন তাঁর দেশের উন্নয়নে সাহায্য করে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নভেম্বর মাসে মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় এসেছেন। প্রথম থেকেই ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ বলে তাঁর নামডাক ছিল। চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠতার কথা বার বার তুলে ধরে ভারতের বিরোধিতাও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর ক্ষমতায় এসেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে মলদ্বীপ থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নিতে বলে দিয়েছেন তিনি। সেই বন্ধুত্বের অবসানের মাঝেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।
তবে শুধুমাত্র চিন নয়, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর কথায়, জিনপিং এমন একজন নেতা, যাঁর কাছে গোটা দেশের নাগরিকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে প্রধান। জিনপিঙের নেতৃত্বে চিনের অর্থনীতিও ব্যাপক উচ্চতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু।