এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংসের ৭২% সম্ভাবনা? বিশাল গ্রহাণু নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি নাসার
ঘনিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর দিন। হাতে মাত্র আর মাত্র ১৪ বছর সময়। তারই মধ্যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। সতর্ক করল মার্কিন গবেষণা সংস্থা।
Saborni Mitra | Published : Jun 23, 2024 9:54 AM IST / Updated: Jun 23 2024, 05:56 PM IST
ধেয়ে আসছে বিপদ
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি বিশাল গ্রহাণু। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসা জানিয়েছে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত করার ৭২ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। নাসা আরও বলেছে, এই গ্রহাণুটি প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্ব পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে।
অফিসিয়ালি রিপোর্ট নাসার
মহাকাশ সংস্থার অপিসিয়াল রিপোর্ট অনুসারে নাসা এপ্রিল সামে পঞ্চম বার্ষিক প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইন্টারএজেন্সি ট্যাবলেটক এক্সারসাইজ পরিচালনা করছেন। ২০ জুন নানা মেরিল্যান্ডের লরেলের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির অনুষ্ঠানেই সতর্ক করেছে নাসা। একই সঙ্গে গ্রহাণু সম্পর্কে একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পেশ করেছে সংস্থা।
অনুষ্ঠানে মূল্যায়ন
নাসার অলোচনা সভায় বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য কোনও গ্রহাণুর হুমকি না থাকলেও, কয়েক বছর পরে একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসতে পারে বিশ্বের দিকে। কিন্তু সেই গ্রহাণুকে প্রতিহত করার কোনও ক্ষমতাই থাকবে না বিশ্বের।
নাসার দাবি
নাসা বলছে গ্রহাণু নিয়ে সব বিষয়ে চর্চা ও অনুশীলন করা হচ্ছে। প্রতিহত করতে কী কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে এই গ্রহাণু প্রতিহত করা গোটা বিশ্বের কাছেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নাসার বক্তব্য
গ্রাহণুটি আয়তনে বিশাল। তাই এর মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং। বর্তমানে উন্নত বিজ্ঞানের কারণে কয়েক বছর আগে থেকেই গ্রহাণুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। হাতে এখনও কিছুটা সময় রয়েছে। তাই গ্রাহণু মোকাবিলায়া কী কী করা যায় তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কবে আছড়ে পড়বে গ্রহাণু
নাসার বিজ্ঞানীদের মতে গ্রহাণুটি আগামী ১২ জুলাই ২০৩৮ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। নাসা আরও বলেছে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। যার অর্থ হাতে রয়েছে আর মাত্র ১৪ বছর।
হাতে সময় বেশি নেই
যাইহোক, এই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করার জন্য যথেষ্ট নয় তেমনই মনে করছে নাসার বিজ্ঞানীরা।
DART তথ্য
নাসা এই প্রথম DART-এর তথ্য নিয়ে আলোচনা করছে। এটি হল গ্রহাণুর প্রভাব , গতিবিধি ও পরিত্রাণ পাওয়ার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে পারে। DART এও নিশ্চিত করেছে গতির প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করতে পারে।
NASA-র NEO সার্ভেয়ার
পৃথিবী একটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুকে মূল্যায়ন এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় পাবে তা নিশ্চিত করার জন্য, NASA NEO সার্ভেয়ার (নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট সার্ভেয়ার) তৈরি করছে। NEO সার্ভেয়ার একটি ইনফ্রারেড স্পেস টেলিস্কোপ। এটি মূলত মহাকাশ থেকে আসা বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্যই তৈরি হয়েছিল।