উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, সোমবার অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর কিম উত্তর কোরিয়ার মহিলাদের বেশি সংখ্যক সন্তান নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এই সময়, তাঁকে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখা যায়।
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনকে বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ সাধারণ মানুষের জন্য সেদেশে অদ্ভুত ও অনৈতিক কিছু নিয়ম চালু করেছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যেখানে কিমকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উত্তর কোরিয়ার মহিলাদের আরও সন্তান নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, সোমবার অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর কিম উত্তর কোরিয়ার মহিলাদের বেশি সংখ্যক সন্তান নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এই সময়, তাঁকে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখা যায়। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হচ্ছে।
দেশে জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিম জং উন। এ জন্য তিনি সভার আয়োজন করে দেশের বহু মহিলাদের মধ্যে জন্মহার বাড়ানোর আবেদন জানান। উত্তর কোরিয়ার নেতাকে পিয়ংইয়ংয়ে হাজার হাজার মহিলার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সাদা রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠান চলাকালে তার সঙ্গে দর্শকরাও অনেকেই কেঁদে ফেলেন। গত ১১ বছরে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় জন্মহারে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।
উত্তর কোরিয়ার জন্মহারে ব্যাপক পতন
অনুষ্ঠান চলাকালে কিম জং উন বলেন, জন্মহার হ্রাস বন্ধ করা এবং শিশুদের ভালো যত্ন নেওয়া জরুরি। শিশুদের সুশিক্ষা দিতে হবে। দেশের মহিলাদের উচিত পারিবারিক সমস্যার সমাধান একসঙ্গে করা। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিবেদন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে জন্মহার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৮, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম।
উত্তর কোরিয়া এই অঞ্চলে একমাত্র দেশ নয় যে জন্মহারে পতন দেখেছে। এর প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার উর্বরতার হার গত বছর রেকর্ড সর্বনিম্ন ০.৭৮-এ নেমে এসেছে, যেখানে জাপানে এই সংখ্যা ১.২৬-এ নেমে এসেছে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।