তথ্য অনুযায়ী ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশ জোট পেয়েছে ১৪৩টি আসন। ফ্রান্সের তিনটি প্রধান দলের কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমতাবস্থায় দেশে তরুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রিটেনের পর এবার ফ্রান্সেও ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে। ফ্রান্সে রবিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল পরাজয়ের মুখে পড়েছে। এর সঙ্গে ফ্রান্সে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বামপন্থী দলগুলোর দাপট দেখা গেছে। ৫৭৭টি আসনের জন্য অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে, বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট জোট ১৮২টি আসনে জয়ী হয়েছে। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল রেনেসাঁ। রেনেসাঁ এই নির্বাচনে মাত্র ১৬৩টি আসন পেয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশ জোট পেয়েছে ১৪৩টি আসন। ফ্রান্সের তিনটি প্রধান দলের কেউই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমতাবস্থায় দেশে তরুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রান্সে সরকার গঠনের জন্য মোট ২৮৯টি আসন প্রয়োজন। এমতাবস্থায় ফ্রান্সে কোয়ালিশন সরকার গঠন করা নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফলের পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ে
নির্বাচনের ফলাফল আসার পর রাজধানী প্যারিসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে শুরু করে। এদিকে ফ্রান্সে শুরু হওয়া হিংসার কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও উঠে এসেছে। যেখানে বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় আগুন জ্বালাতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। তাদের থামাতে গিয়ে অনেক জায়গায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাদের থামাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।
পরাজয়ের দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ফ্রান্সের নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল পরাজয়ের দায় স্বীকার করে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীই থাকবেন। গ্যাব্রিয়েল আটাল আরও বলেন, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তাই আমি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব। নির্বাচনের ফলাফল আসার পর রাজধানীতেও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশের লোকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এ সময় রাজধানী প্যারিসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।