Russia Ukraine war: জি২০ ঘোষণাপত্রে সায় দেওয়াই সার! রাশিয়ার যুদ্ধংদেহী মেজাজে ইউক্রেন একটি ঘুঁটি মাত্র

Published : Sep 10, 2023, 11:29 PM IST
Russia Ukraine War

সংক্ষিপ্ত

মস্কোর রাষ্ট্র পরিচালিত রাশিয়া ১এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে আন্দ্রে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বেশ দীর্ঘকাল স্থায়ী করতে চাইছেন। 

যুদ্ধ বিরোধী ঘোষণাপত্রে সায় দেওয়াই সার! রাশিয়া এখনই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাবে না। এটি শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ। আগামী দিনে ইউরোপের বিরুদ্ধে সংঘাতে যেতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ জেনালের যাঁকে চলতি সপ্তাহেই পদোন্নতি দিয়েছিলে পুতিন, তিনিও এই ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন। এটি ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আন্দ্রে মর্দভিচেভক কর্নেল বলেন, পুতিন এই যুদ্ধ আরও বেশি সময় যাতে স্থায়ী হয় তারই ব্যবস্থা করেছেন। কর্নেল থেকে তাঁকে সম্প্রতি জেনারেল পদে উন্নিত করা হয়েছে।

মস্কোর রাষ্ট্র পরিচালিত রাশিয়া ১এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে আন্দ্রে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বেশ দীর্ঘকাল স্থায়ী করতে চাইছেন। এই যুদ্ধ ভবিষ্যতেও প্রসারিত হবে। জেনারেল আরও বলেন, আমি মনে করি এখনও প্রচুর সময় বাকি রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলা অর্থহীন। তিনি আরও বলেন যদি পূর্ব ইউরোপের কথা বলা হয় তাহলে তা অবশ্যই রাশিয়ার প্রাপ্য। প্রশ্নকর্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন ইউক্রেন শুধুমাত্র একটি ধাপ? তার উত্তরে আন্দ্রে বলেন একদমই তাই। এটি শুধুমাত্র একটি শুরু। তিনি বলেন এই যুদ্ধ এখনই থামবে না।

জেনারেল আরও বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র পোল্যান্ড ও অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশ-সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলিতে ক্রেমলিনের আগ্রাসন বাড়াতে চাইছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি আরও একটি পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। অন্যদিকে রাশিয়া ইতিমধ্যেই চারটি ইউক্রেনিয় এলাকা- জাপোরিঝিয়া, ডোনেটক্স, লুহানস্ক, খেরসন- যেগুলি এক বছর আগে মস্কো অধিগ্রহণ করেছে সেখানে সম্প্রতি নির্বাচন সমাপ্ত করেছে। যার অর্থ এই এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই রাশিয়া নিজের বলে দাবি করেছে। যা মানতে নারাজ ইউক্রেন।

তবে সম্প্রতি জি২০ বৈঠকে যুদ্ধ বিরোধী ঘোষণাপত্রে সায় দিয়েছিল রাশিয়া আর চিন। কিন্তু ঘোষণাপত্রে রাশিয়ার নাম না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এই সায় দেওয়াই সার। রাশিয়া এখনও যুদ্ধংদেহী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে নারাজ। ভারত জি২০ সম্মেলনে যে নথি পেশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে সমস্ত দেশের কোনও রাষ্ট্র আঞ্চলিক অখণ্ডা ও সার্বভৌমত্ব বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অধিগ্রহণের জন্য হুমকি বা শক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কিন্তু সেখানে রাশিয়ার কোনও সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। গত বছর বালিতে জি২০ সম্মেলনে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করা হয়েছিল।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

তাইওয়ানের চারপাশে ফের চিনা সামরিক বিমান! ঘুরতে দেখা গেল যুদ্ধজাহাজও
জাপানে মাত্র ১০ ফুট গভীরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি