হামলার জবাবে রাশিয়া এই পদক্ষেপ নেয় এবং ৩৪ জন যোদ্ধাকে হত্যা করে। রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স এই হামলার তথ্য দিয়েছে। রবিবার গভীর রাতে এই হামলার তথ্য জানায়।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়া সিরিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার ইদবিলে এক বিমান হামলায় প্রায় তিন ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে রুশ বিমান বাহিনী। বলা হচ্ছে, সিরিয়ার ইদলিব গভর্নরেটকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিমান বাহিনীর এই হামলায় অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৩৪ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এছাড়া এই হামলায় ৬০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেনে রাখা ভালো যে অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধারা সিরিয়ার সরকারি সেনাদের অবস্থানে গুলি চালানোর সাথে জড়িত ছিল।
এই হামলার জবাবে রাশিয়া এই পদক্ষেপ নেয় এবং ৩৪ জন যোদ্ধাকে হত্যা করে। রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স এই হামলার তথ্য দিয়েছে। রবিবার গভীর রাতে এই হামলার তথ্য জানায়। হামলার বিষয়ে ইন্টারেক্স রিয়ার অ্যাডমিরাল ভাদিম কুলিতকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে রাশিয়ান অ্যারোস্পেস বাহিনী ইদলিব প্রদেশে এই হামলা চালিয়েছে। কুলিত বলেন, সশস্ত্র দলগুলো ২৪ ঘণ্টায় সাতবার সিরিয়ার সরকারি সেনাদের অবস্থানে হামলা করেছে।
বিদ্রোহীরা হামলার জন্য দায়ী
সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইদলিব এবং আলেপ্পো প্রদেশে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে, যাদেরকে তারা ইসলামিক জিহাদি বলে। তাঁরা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন। একই সময়ে, বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলেছে যে রাশিয়া এবং সিরিয়া উভয়ই গাজা সংঘাত নিয়ে বিশ্বের ব্যস্ততার সুযোগ নিচ্ছে এবং তার ভূখণ্ডে হামলা বাড়াচ্ছে। রাশিয়া যে অঞ্চলে আক্রমণ করেছে সেখানে ৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে থাকতে অস্বীকার করেছে।
সিরিয়া গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে
রাশিয়া ক্রমাগত সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। চলতি বছরের জুনেও পশ্চিম সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। এই হামলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে। রাশিয়া তাদের অভ্যুত্থান থেকে রক্ষা করতে কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় ক্যাম্প করে আসছে। ১২ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। কারণ সেখানকার মানুষ দেশের সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। বিশ্বের অনেক দেশ সিরিয়ার এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।