ভারত-কানাডার এমন সমস্যার মাঝে কানাডা পাশে পেল না তার মিত্র দেশগুলোকে। এমনই ইঙ্গিত মিলল জাতি সংঘের সম্মেলনে।
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিক বৈঠক করার সময় কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হন। কানাডার মাটিতে দেশটির একজন নাগরিকের বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন কানাডা। এমনই অভিযোগ তাদের। তবে, ভারত সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ভারত-কানাডার এমন সমস্যার মাঝে কানাডা পাশে পেল না তার মিত্র দেশগুলোকে। এমনই ইঙ্গিত মিলল জাতি সংঘের সম্মেলনে।
কানাডার প্রধান মিত্র দেশসমূহ, যাদের সঙ্গে দেশটি নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান করে, তাদের একসঙ্গে ফাইভ আইস, ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্স বলা হয়। কানাডা ছাড়া এর অন্য সদস্যরা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
এদিকে এই দেশগুলো অনেকটা দায়সারা গোছের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। কেউই দাঁড়ায়নি ট্রুডোর পাশে।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলয়া বলেছেন, ‘তারা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।’ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেন, ‘কানাডা যা বলেছে তা তার দেশ গুরুত্বসহকারে নিয়েছে।’ এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া এসেছে। তাঁরা কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। তেমনই চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ভারতের প্রসঙ্গ টানেন, তখন তিনি ভারতের প্রতি নিন্দা করে কোনও কথাই বলেননি। বরং, ভারতকে নতুন অর্থনৈতিক পথ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য দেশটির প্রশংসা করেন।
এমনকী, বাইডেনের জাতীয় নিরপাত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। বিষয়টি নিয়ে কানাডার সঙ্গে নিবিড়ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানান।
এদিকে এদিন জনসমক্ষে যে আলোচনা হয় তাতে কোনও উত্তেজনামূলক বিবৃতি ছিল না। দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা বিরোধকে ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। তেমনই পশ্চিমা দেশগুলোয় ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টাও করা হয়।
এদিকে আবার জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সমস্ত পশ্চিমা ও ইন্দো প্যাসিফিক মিত্ররা একটি কৌশল তৈরি করেছে যা মূলত ভারতের ওপর ফোকাস করে। চিনের কাছেও একটি শক্তিশালী ও পাল্টা চাপ হতে পারে। বললেন, উইলসন সেন্টারের কানাডা ইনস্টিটিউটের গবেষক জেভিয়ার ডেলগাডো।
আরও পড়ুন
Startup: স্টার্টআপ শিল্পে বিশ্বের চতুর্থ দেশ ভারত, বিনিয়োগ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
Pakistan Crisis: ৪০ শতাংশ পাকিস্তানি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, সতর্ক করল বিশ্বব্যাঙ্ক