কিম জং উনের উদ্দেশ্য কী? একদিনের মধ্যে ১৭টি মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছে যে বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূল ওনসান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যেখানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উলেং দ্বীপের ১০৪ মাইল আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়েছিল।

Parna Sengupta | Published : Nov 2, 2022 1:32 PM IST

নিজেদের অবস্থান থেকে কোনওভাবেই পিছনে সরছে না উত্তর কোরিয়া। বুধবারও মিসাইল পরীক্ষা করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে যে তার প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে একের পর এক মোট ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উত্তর কোরিয়া একদিনে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর তারা দ্বীপে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়াও তাৎক্ষণিকভাবে তিনটি আকাশ থেকে সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পাল্টা জবাব দেয়। এসব হামলার আগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া সম্প্রসারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছিল। উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে যে এটি একটি সম্ভাব্য হামলার মহড়া এবং এর প্রতিক্রিয়ায় আরও আক্রমনাত্মক পদক্ষেপের জন্য মঙ্গলবার সতর্ক করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূল ওনসান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যেখানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার উলেং দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে ১৬৭ কিলোমিটার বা ১০৪ মাইল আন্তর্জাতিক জলসীমায় পড়েছিল। এর পর দক্ষিণ কোরিয়াও বিমান হামলার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত দশকেরও বেশি সময় আগে উপদ্বীপের বিভাজনের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি এলাকায় আঘাত হানে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এর নিন্দা করেছে। জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের অপারেশন ডিরেক্টর কাং শিন-চুল বলেছেন, "উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ খুবই নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য, কারণ এটি সামুদ্রিক সীমান্তের দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি অবতরণ করেছে।"

দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম দ্বীপে বসবাসকারী মানুষদের ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে। যে এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করেছে সেটি কোরিয়ান উপদ্বীপের পূর্ব সামুদ্রিক সীমানা থেকে ২৬ কিলোমিটার বা ১৬ মাইল দূরে। তবে এটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বেশ দূরে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে ১৯৪৮ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সৃষ্টির পর এই প্রথম একটি ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রসীমার এত কাছে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, "এটি অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা এটি সহ্য করব না।" একই সময়ে, দক্ষিণ কোরিয়া তিনটি আকাশ থেকে সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে এর উত্তর দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালোউইন উৎসবের মৃত্যু পেরিয়ে গেল দেড়শোর গণ্ডী, পরিস্থিতি দেখে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক!

পাক সেনাবাহিনী ও পিটিআই এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য প্রধান দায়ী হলো বিরোধী শিবিরগুলো, দাবি ইমরানের

Share this article
click me!