'বঙ্গে বাড়ছে আপ, তাই দফতর, তবে ফোকাসে মোদীর গড় গুজরাট'- সঞ্জয় বসু

বঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই আম আদমি পার্টি এক রাষ্ট্র নির্মাণ অভিযান চালাচ্ছে। আর এই অভিযানের সাফল্যেই এখন কলকাতায় রাজ্য দফতর খুলছে আপ। তবে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ-এর এখন মূল্য লক্ষ্য গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। 
 

debojyoti AN | Published : Sep 25, 2022 2:59 AM IST / Updated: Sep 25 2022, 10:10 AM IST

গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গে আম আদমি পার্টির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন সঞ্জয় বসু। আপ-এর কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় বাংলার ছেলে হলেও দীর্ঘদিন দিল্লিবাসী। বলতে গেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক্কেবারে ছায়াসঙ্গী। দলের ৯০ শতাংশ কর্মী ও সমর্থক এখন ব্যস্ত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। তারই ফাঁকে কলকাতায় পার্টি অফিসের উদ্বোধনে সঞ্জয়। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার এডিটর দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর সঙ্গে টেলিফোনিক ইন্টারভিউ-এ সোজা-সাপটায় জানিয়ে দিলেন এই মুহূর্তে আপ-এর কলকাতায় রাজ্য দফতর খোলার প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক লড়াই-এ অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের অবস্থানটা।  

দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- যেখানে গুজরাট এখন আম আদমি পার্টির ফার্স্ট প্রায়োরিটি, সেখানে কেন এই মুহূর্তে বাংলার বুকে রাজ্য দফতরের উদ্বোধন?

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- এর পিছনে যে বিশাল কোনও কৌশল রয়েছে এমন কোনও কারণ নয়। এই মুহূর্তে আমাদের একটাই ফোকাস গুজরাট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য এই মুহূর্তে আপ-এর কাছে সবচেয়ে বড়় অগ্রাধিকার। এর মাঝে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে কলকাতায় আপ-এর একটা রাজ্য দফতর খোলার। সেই কারণেই এই দফতর খোলা হচ্ছে। 

 দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পশ্চিমবঙ্গে যখন আপ-এর রাজ্য দফতর খোলার দরকার ছিল, তখন কেন খোলা হল না? বিশেষ করে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষ চাইছিল যে আপ-এর পদচিহ্ন বাংলার মাটিতে দৃঢ় হোক?

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- দেখুন, প্রথমে আপনার প্রশ্নের 'দরকার' শব্দটাতে আসবো। আমরা এটা বিশ্বাস করি এবং বলি যে 'আমাদের কোনও দরকার ছিল না রাজনীতি করার'। যারা তথাকথিত রাজনৈতিক দল তারা যদি নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারতেন তাহলে সাধারণ মানুষ বা আম আদমি-কে রাজনীতির আঙিনায় আসতে হত না। আজকে কংগ্রেস, বিজেপি-র মতো দলগুলো রাজনৈতিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীদের রাজনীতির ময়দানে নামতে হয়েছে। আম আদমিকে রাজনৈতিক ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে হয়েছে। এর কোনও দরকারই ছিল না। আমরা দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলি, তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দায়িত্ব রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রবাসীর জন্য যথাযথভাবে পালন করুক আমাদের আম আদমিদের তাহলে রাজনীতি করার কোনও দরকারই পড়বে না। তাই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আপ-এর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার থেকেও বেশি দায়বদ্ধতা রাষ্ট্র নির্মাণে এবং এর নাগরিকদের উন্নয়নে। তাই শুধুমাত্র একটা রাজনৈতিক কারণে একটা রাজ্য দফতর খোলা হবে- এমন দর্শনে বিশ্বাসী নয় আপ। মানুষের মধ্যে আমরা যদি উন্নতর রাষ্ট্র নির্মাণে পরিবর্তনের মনবাসনা তৈরি করতে না পারি- তাহলে পার্টি অফিস খুলে তো কোনও লাভ নেই। তবে, ২০২০ সাল থেকে বাংলার বুকেও আপ রাষ্ট্র নির্মাণ অভিযান চালিয়েছে। আর তারই ফলপ্রসূ প্রয়াসে এবার বাংলায় রাজ্য দফতর খুলল আপ।  

 দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- দিল্লি-র বুকে এক ঐতিহাসিক জয় দিয়ে রাজনীতির আঙিনায় আপ বিশাল তাৎপর্য তৈরি করেছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস-এ বারবার নানা ধরনের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে দিল্লি-র আপ নেতা এবং মন্ত্রীদের, কী বলবেন? 

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- জোর করে কেউ যদি কেলেঙ্কারির কলঙ্ক চাপাতে চায়- তাকে কীভাবে রুখবেন। প্রচুর চিৎকার- চেঁচামেচি হচ্ছে এই নিয়ে, কিন্তু দিন কয়েক পরে দেখা যাচ্ছে কোনও প্রমাণ, নথি ছাড়াই ধরপাকড় হয়েছে এবং কালিমা লিপ্ত করা হয়েছে। এমনকি এই আচরণ নিয়ে দিল্লি আদালতের বিচারকও প্রশ্ন তুলেছেন। আর এমন প্রশ্ন করায় সেই বিচারককেও বদলে দেওয়া হয়েছে। তো কী বলবেন এগুলোকে। বলা হচ্ছে দিল্লিতে আপ-এর মদতে লিকার স্ক্যাম হয়েছে। কিন্তু, সবচেয়ে বড় কথা এই নিয়ে কোনও যে নথি বা প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো দিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে যে দুটো মদ ব্যবসায়ী সংস্থার মধ্যে চুক্তি নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে, আর সেটাকে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে আপ-এর নাম করে। আসলে বিজেপি নিজেকে বিশাল ক্ষমতাবান মনে করছে এবং যে তেন প্রকারে বিরোধীদের টুটি চিপে ধরতে চাইছে। সে প্রমাণ থাকুক না থাকুক- তাতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের কিছু যায় আসে না। তাদের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ চাই। আর দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে আপ উন্নত রাষ্ট্র ভাবনা এবং চেতনা এবং রাষ্ট্রবাসীকে উন্নতর জীবন দেওয়ার যে মডেল খাড়া করেছে তা দেশ-সহ বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণে আরও বেশি করে আপ-এর উপরে নেমে আসছে দমন-পীড়ন নীতি। আমরা তৈরি হয়ে রয়েছি এই দমন-পীড়নের জন্য। আপ-এর প্রধান নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাফ বলে দিয়েছেন কোনও সমাঝোতা নয়, আমরা আমাদের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব। যত অত্যাচারই হোক বা কালিমা লেপনের চেষ্টা হোক, আমরা থামবো না। গুজরাট এখন আমাদের লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্যে আমরা অটুট রয়েছি।  

দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- কিন্তু সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ শিশোদিয়া- আপ-এর এই শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে যা হচ্ছে তাকে মিথ্যা বলেই দাবি করছেন কি আপনারা? 

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- আপনি বলুন কোথায় শুধুমাত্র ফোটোকপির ভিত্তিতে মামলা হয়। কোনও সত্যিকারের নথি বা প্রমাণ নেই। আদালতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা বলছে শুধুমাত্র কিছু ফোটোকপি রয়েছে। এবার আদালত যখন আসল নথি চাইছে, তা আর দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। আপনি একটা কথা বলুন- লিকার স্ক্যাম-টা আবার কি স্ক্যাম! কত কোটি টাকার স্ক্যাম হয়েছে ? সেটাও ঠিক করে বলতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মিনিটে মিনিটে স্ক্যামের অঙ্ক বদলে যাচ্ছে। যদি, সত্যি সত্যি কোনও প্রমাণ থাকবে তাহলে এইভাবে মুহূর্তে মুহূর্তে স্ক্যামের অঙ্ক চেঞ্জ হতে পারে। আসলে কোনও স্ক্যামই নেই। মোদী, অমিত শাহদের অঙুলি হেলনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্ষমতার অপব্যবহার করে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। সতেন্দ্র জৈন-এর মামলাতেও এই বিষয়টি সামনে এসেছে। এই নিয়ে বিচারক দুর্গেশ পাঠক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ভর্ৎসনা করায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল মামলা থেকে। মণীশ শিশোদিয়ার বাড়ি থেকে কী পাওয়া গিয়েছে! কিছুই না। খালি হইহট্টগোল বাধিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর ভুয়ে খবর ছড়ানো হচ্ছে। এতে আপ-এর লড়াই-এর মানসিকতাকে ভেঙে ফেলা যাবে না। আপনি পঞ্জাবেও দেখুন সেখানে কি শুরু করেছে বিজেপি।  

দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- নির্বাচনে জয়ের জন্য গুজরাট-এ কোন ধরনের মডেলকে অনুসরণ করছে আপ?

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-  গুজরাটে আমরা ডাক দিয়েছি 'আপ ব্যাস পরিবর্তন যাত্রা'। আর এতেই ঘুম ছুটেছে বিজেপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি, কথা বলছি। এক উন্নত রাষ্ট্র এবং নাগরিকরা কী ধরনের পরিষেবা পেতে পারেন তা বোঝানো হচ্ছে। দিল্লিতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পানীয় জলের সরবরাহ- বিদ্যুৎ-এর মাশুল ঘাটতি-সহ যে ৬ দিশায় আম আদমি পার্টি দিল্লির উন্নয়ন করেছে, সেই মডেলকে তুলে ধরা হয়েছে। গুজরাট-এর মানুষের অনেক আশা-আকাঙ্খা রয়েছে। সেগুলোকে কীভাবে পূরণ করা হবে তার দিশা দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা মহিলারা অংশ নিচ্ছে। আপনারা ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে গুজরাট সরকারের প্রশাসন কেমন ব্যবহার করেছে। কিন্তু, এসব করে কোনও লাভ নেই। আপ-এর লক্ষ্য এখন গুজরাট। দিল্লিতে আমরা বদল এনেছি, পঞ্জাবে বদল এনেছি, এবার আমরা গুজরাটে বদল আনবো। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই। আমরা রাজনীতির নামে হিংসা চাই না, খুন-মারদাঙ্গায় বিশ্বাসী নই। মানুষকে উন্নত রাষ্ট্রচেতনায় দিক্ষীত করে এগিয়ে যাওয়াটাই আপ-এর লক্ষ্য। আগামী দিনে গুজরাটে আপ-এর দাপট আরও বাড়বে।  

দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- গুজরাট নিয়ে এত কিছু ভাবছেন আপনারা, কিন্তু সামনে তো বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর গত কয়েক বছরে আপনারা গ্রামাঞ্চলে ভালো কাজ করেছেন, সংগঠন বেড়েছে, তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের স্ট্র্যাটেজিটা কি? 

সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- ২০১৬ সালে বাংলায় বিশেষ করে কলকাতা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বেশি নিয়েছিল আপ। কিন্তু, তাতে সংগঠন বিশাল কিছু বাড়েনি। ২০২০ সালে বাংলায় রাষ্ট্র নির্মাণ অভিযান শুরু করে আপ। সেই কাজের অঙ্গ হিসাবে গ্রামাঞ্চলে অসংখ্য কর্মসূচি নেওয়া হয় এবং আজও তা চলছে। এতে বিশাল সাফল্য এসেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের ২০টি জেলায় আপ-এর সংগঠন যথেষ্টই শক্তিশালী। ১৮টি জেলাতে আপ-এর দফতর রয়েছে। এই সব দফতরের জন্য রাজ্যে একটা কেন্দ্রীয় দফতর দরকার ছিল। সেখান থেকেই কলকাতায় রাজ্য দফতর খুলল আপ। কিন্তু, এর মানে এই নয় যে বাংলাতে আগামী কয়েক মাস-এর মধ্যে সমস্ত নির্বাচনে আমরা অংশ নেব। ডিসেম্বরের মধ্যে গুজরাট ছাড়া অন্য কোনও কোথাও আপ কোনও নির্বাচনে লড়াই করবে না। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আপ এখনই সুস্পষ্ট কোনও কথা বলবে না। গুজরাট ছাড়া আমরা এখন কিছু ভাবছি না। আর আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। সুতরাং, বাংলায় এখন বিক্ষিপ্ত নির্বাচন লড়ে যে কোনও লাভ রয়েছে আপ-এর সেটা মনে করা হচ্ছে না। বরং মানুষকে বোঝানো, আপ-এর দর্শনকে তুলে ধরাটাই এখন কাজ। 

 দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাদের নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছে সিবিআই, ইডি-র হাতে, বিজেপি আসরে নেম পড়েছে এই নিয়ে, এমন এক সময়ে বাংলার রাজনীতিতে আপ-এর সক্রিয় ভূমিকাটা কোথায়?

 সঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গে আপ-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা- তৃণমূল কংগ্রেসের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই সময় দুর্নীতির কেলেঙ্কারির পরিমাণ কত! একটু হিসাব করুন। আমি বলছি না যে কেলেঙ্কারির অঙ্কটা কম, আমি বলছি এর থেকেও যারা বেশি টাকার কেলেঙ্কারি করেছে তাদের কেন ধরা হচ্ছে না। কোন ক্ষমতা বলে তারা ছাড় পাচ্ছেন। সাড়ে দশ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতিকে রাতারাতি মাফ করে দিয়েছে কেন্দ্রে বিজেপি শাসিত মোদীর সরকার। কিসের ভিত্তিতে এই টাকাকে মুকুব করা হয়েছে। এই টাকা গিয়েছে সমস্ত বড় কর্পোরেটদের পকেটে। ঋণের নাম করে এই অর্থ নেওয়া হয়েছিল। সুতরাং, একটা জিনিস মাথায় রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিতে চোর হয়, তাহলে ডাকাত হচ্ছে বিজেপি। এবার বলুন আগে ডাকাতের বিরুদ্ধে লড়বেন না চোরের পিছনে দৌঁড়বেন। আমরা চোরের পিছনেও যাব। তবে আগে ডাকাতদের কাবু করি। যাদের দেশের জনগণের টাকা এদিক-ওদিক হরিলুঠ করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাটা কাজ। তৃণমূল কংগ্রেসের পিছনে ধাওয়া করার সময় যখন আসবে তখন ঠিক আপ তা পালন করবে।  
আরও পড়ুন- 
তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে দলবদল- একাধিক প্রসঙ্গে দুর্গা পুজোর আগেই 'জোর কা ঝটকা' দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী 
বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তীর পুজো উদ্বোধনের আগেই বড়সড় বাধা, বালুরঘাটে সার্কিট হাউসে মিলল না থাকার অনুমতি 
‘আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়!’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা ফেসবুক পোস্ট, তৃণমূলের অন্দরে বেসুরো

Share this article
click me!