সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাংসদ পদ ছাড়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন অর্পিতা। তারপরই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। তারপরই তৈরি হয়েছিল জল্পনা। সাংসদ পদ ছেড়ে সাংগঠনিক কাজ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ইস্তফার দু'দিন পরই তৃণমূলের তরফে তাঁকে দেওয়া হল নতুন পদ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হল তাঁকে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাংসদ পদ ছাড়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন অর্পিতা। তারপরই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জল্পনা। অনেকেই ভেবেছিলেন, অন্য দলে যাচ্ছেন তিনি। সেই কারণেই ইস্তফা। যদিও সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তার দু'দিনের মধ্যেই দলের মধ্যে বড় পদ দেওয়া হল অর্পিতাকে।
আরও পড়ুন, 'পুরুলিয়ায় আক্রান্ত ২৩৭ শিশু, আর উনি এখন নির্বাচনে ব্যস্ত', মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
বৃহস্পতিবারই ইস্তফা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে অর্পিতা বলেন, "আমি সংগঠনের কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি আগে লোকসভায় থেকেছি, দল আমাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ে আমি সংগঠনে থেকে দলের জন্য বেশি কাজ করতে পারব। সেটাই আমি দলকে জানিয়েছিলাম। শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে এই ব্যাপারে কোনও জোর করেনি। এটা পুরোপুরি আমার সিদ্ধান্ত।"
আরও পড়ুন- 'রাহুল নন, মোদীর বিকল্প মুখ মমতাই', 'জাগোবাংলা'-প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
শুক্রবার অর্পিতাকে চিঠি দিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সি জানান, অবিলম্বে অর্পিতাকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। সংগঠনের উন্নতির জন্য অর্পিতা কাজ করবেন বলে তাঁর বিশ্বাস।
লোকসভা নির্বাচনের এখনও অনেকটাই দেরি আছে। কিন্তু, দেরি থাকলেও এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই সংগঠনের কাজ করতে চান বলে জানান অর্পিতা। তবে তাঁর এই পদত্যাগককে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, "ভিন রাজ্য থেকে লোককে সুযোগ দিতেই অর্পিতাকে পদত্যাগ করতে হল। তাঁর জায়গায় নতুন লোককে পাঠানো হচ্ছে।" আর পদত্যাগের পরই দলের মধ্যে বড় পদ পেলেন অর্পিতা।