এটিএম প্রতারণা করে বিলাসবহুল জীবন, রোমানিয়ান জালিয়াতদের দিনে থাকার খরচ ৪ হাজার

  • কলকাতায় এটিএম জালিয়াতি চক্রে দিল্লি থেকে ধরা পড়েছে রোমানিয়ান নাগরিক
  •  ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া গেছে একাধিক তথ্য
  • যা শুনে মাথায় হাত পড়েছে পুলিশের
  •  দিল্লিতে প্রতি দিন থাকার জন্য চার হাজার টাকার রুম ভাড়া নিত তারা

Asianet News Bangla | Published : Dec 11, 2019 8:52 AM IST / Updated: Dec 11 2019, 02:25 PM IST

কলকাতায় এটিএম জালিয়াতি চক্রে দিল্লি থেকে ধরা পড়েছে রোমানিয়ান নাগরিক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া গেছে একাধিক তথ্য। যা শুনে মাথায় হাত পড়েছে পুলিশের। ধৃত সিলভিউ ফ্লোরেন স্পিরিডন জানিয়েছে, দিল্লিতে প্রতি দিন থাকার জন্য চার হাজার টাকার রুম ভাড়া নিত তারা। আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রতিদিন প্রতারকদের কম করেও খরচ হত হাজার দশেক টাকা। অন্তত পুলিশ সূত্রে তেমনই খবর পাওয়া গেছে।  

সম্প্রতি আলিপুর আদালতে তোলা হয় এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে ধৃত সিলভিউ ফ্লোরেন স্পিরিডনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জেরেই উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কদিন আগে রাজধানীর গ্রেটার কৈলাস এলাকা থেকে ধরা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত একজন রোমানিয়ান নাগরিক। অভিযুক্তের ঠিকানা রোমানিয়ার কনস্ট্য়ানটা শহরে। তার কাছ থেকে একাদিক পিন হোল ক্যামেরা চিপ , ব্যাটারি, বহু স্কিমারের যন্ত্র ছাড়াও ম্যাগনেটিক চিপ পাওয়া গেছে। 

গত এক সপ্তাহে এই জালিয়াতি চক্রের জেরে নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের। একই দিনে কমপক্ষে ৪০ জনের টকা ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যায়। শুধু যাদবপুর ও সংলগ্ন এলাকা থেকেই এরকম ৩০টি এটিএম প্রতারণা চক্রের হদিশ মেলে। সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গ্রাহক কার্ড পাঞ্চ না করা সত্ত্বেও দিল্লির এটিএম থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারণা চক্রের লোকজন। 

যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে হয় মহানগরবাসীকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়,জালিয়াতি চক্র বেসরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের নিশানা করেছে। সমস্যার সমাধানে ব্যাঙ্ক ও থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রতারিতরা। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। দেখা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে এক রোমানিয়ান প্রতারণা চক্রের যোগ রয়েছে। এরপরই গ্রাহকদের এটিএম কার্ড ব্য়বহারে স্চেতন হতে পরামর্শ দেয় কলকাতা পুলিশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বার বার এটিএম কার্ডের পিন বদলের পারমর্শ দিয়েছে লালবাজার। তবে এই প্রথমবার নয়,এর আগে  একটি রোমানিয়ান জালিয়াত চক্র দিল্লি বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছিল। 

Share this article
click me!