সোমবার সাতসকালেই মিষ্টির দোকানে ভীড়। হাড়ি-হাড়ি দই, মিষ্টি যাচ্ছে সবার বাড়িতে। ভোজন রসিক বাঙালি আবার বয়েসের আগেই মধুমেহ রোগ বাঁধিয়ে বসে থাকে। তাই বলে দই মিষ্টি বাদ যাবে কেন, ধান-দুব্বোর সঙ্গে দই-মিষ্টি। এবং লুচি-আলুর দম খাওয়ার আগে ও পরে দই-মিষ্টি খাওয়াটা চলেই। তবে ইতিমধ্য়েই শহর-শহরতলি জুড়ে চলছে জম-জমাটি ভাই ফোঁটা।
আরও পড়ুন, 'তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া', সৌমিত্রকে নিয়ে স্মৃতির শহরে পাড়ি দিলেন বাবুল সুপ্রিয়
ভোর হতেই স্নান সেরে ভাই-দাদারা ফোঁটা নিতে শুরু করেছে
সোমবার অধিকাংশ বেসরকারি অফিসই খোলা। তাই ভোরবেলাতেই স্নান সেরে ভাই-দাদারা ফোঁটা নিতে শুরু করেছে। শাঁখের আওয়াজের সঙ্গেই ঘুম ভেঙেছে বাঙালির। যদুবাবুর বাজার হোক কিংবা লেক মার্কেট সব জায়গাতেই মানুষ পছন্দের মাছ কিনতে ব্য়াস্ত। কিলোয় কিলোয় মুরগী শুচ্ছে দাঁড়িপাল্লায়। পাঠার দোকানেও কম ভীড় নয়। পূরবী সিনেমা হলের কাছে, প্রতিবার ভোর থাকতেই রেডি। পাঠা বলিটা বাংলা স্টাইলেই হয়ে যায়। ধুয়ে-মুছে একেবারে শো-পিস করে রাখে দোকানিরা। তবে ব্য়াগে ঢোকানোর সময় সেই মাংসই ঢোকে কিনা, এ নিয়ে ধন্ধ থেকে যাবে বাঙালির চিরকালই।
আরও পড়ুন, ভাইফোঁটার ভোরে হিমেল অনুভূতি কলকাতায়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের পূর্বাভাস উত্তর-পশ্চিম ভারতে
এবছরের মত উৎসব শেষ
অপরদিকে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায় প্রয়াণের ২৪ ঘন্টাও পেরোয়নি। শ্রদ্ধা জানিয়েছে হাজারে-হাজারে মানুষ। তবে বাঙালি জানে, রাতের সকল তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। এদিকে ভাঁইফোটার দিনই বলতে আপমোর বাঙালির এবছরের মত উৎসব শেষ। রাত পেরোলেই নিভবে বাতি কালী পুজোরও।