রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া জট কাটল। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট। এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত মেধাতালিকায় সন্তুষ্ট হওয়ায় শুক্রবারই এই মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তে খুশি চাকরি পার্থী সহ রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, 'নতুন নিয়োগ তালিকায় নাম নেই', SSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সল্টলেক এসএসসি (SSC)ভবনের সামনে, 'ডকুমেন্টস আপলোড হয়নি' এই অভিযোগ নিয়ে উচ্চ প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে ।চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, ' ২০১৪ সালে এস এস সি আপার প্রাইমারী চাকরির ফর্ম ফিলাপ করা হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। ২০১৬ সালে রেজাল্ট বের হয়। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউ এর জন্য আবেদন করে। শুক্রবার যার জন্য আসা ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর প্যানেলাইজড ছিলাম। অনেক রকম সমস্যার কারণ কিছু প্যানেলাইজড নেই। তারপর সেই প্যানেলটা বাতিল হয়েছে। তার জন্য যথেষ্ট বৈধ কারন রয়েছে। ২০২১ সালে অনলাইন আপলোড হয় তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের নানান সমস্যা ধরা পড়েছে। আজ আমাদের দাবি, গতকাল যে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের অফলাইন ভেরিফিকেশন করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।'
আরও পড়ুন, কড়া নজরে রাজীব-সব্যসাচী, দল বিরোধি বক্তব্যের জেরে 'বহিষ্কার' করবে কি BJP
তাই এদিন অভিযোগকারীদেরও গুরুত্ব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগগুলির নিষ্পত্তির দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরেই দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, তালিকায় কোনও ভুল থাকলে তা প্রার্থীরা কমিশনকে জানাতে পারবেন। সেই অনুযায়ী তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে কমিশন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে সচিব পর্যায়ের আধিকারিককে। তাতেও সন্তুষ্ট না হলে সেক্ষেত্রে আদালতের রাস্তা খোলা থাকছে।তবে অযোগ্যরা যদি অযথা হয়রানির উদ্দেশ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, তাহলে জরিমানা করার কথাও জানিয়েছে আদালত।