বিক্ষুব্ধ জনতা আইনের উর্ধ্বে নয়,বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙাকাণ্ডে মন্তব্য় হাইকোর্টের

  • বিশ্বভারতীর জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা
  •  বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইন শৃঙ্খলাকে রক্ষা করতে সমস্যায় পুলিশ
  • রাজ্য সরকার তাই পাঁচিল দেওয়ার কাজের ওপর স্থগিতাদেশ চাইছে কোর্টে
  •  কিন্তু রাজ্যের আর্জিতে সায় দিল না আদালত, ফের শুনানি বুধবার

 

Asianet News Bangla | Published : Sep 29, 2020 12:20 PM IST / Updated: Sep 29 2020, 06:06 PM IST

বিশ্বভারতীর জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইন শৃঙ্খলাকে রক্ষা করতে পুলিশ সমস্যায় পড়ছে।  রাজ্য সরকার তাই পাঁচিল দেওয়ার কাজের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানায় কোর্টের কাছে। কিন্তু রাজ্যের আর্জিতে সায় দিল না আদালত। বরং স্পষ্ট জানালো, "প্রয়োজন হলে আমরা গুলির সম্মুখীন হব। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা আইনের ওপরে গিয়ে কথা বলবে তা হতে পারে না। যেটা পুলিশের  করণীয় তারা করতে না পারলে আমরা করব"। মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন। এদিন আদালত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ আগামীকাল ফের শুনানি রয়েছে কোর্টে৷ 

মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদল, বাংলা থেকে জায়গা পেতে পারেন তিন সাংসদ

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্বভারতী কাণ্ডে কমিটি গঠন হয়েছে৷ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।  কমিটির তদারকিতে  বিশ্বভারতীর জমি চিহ্নিত করে পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে৷ কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা পাঁচিল তোলার কাজ আটকাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এদিন সকাল থেকে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি কোনওক্রমে সামলায়। 

মেট্রো যাত্রীদের জন্য় সুখবর,রবিবারেও চলবে কলকাতা মেট্রো রেল

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বিষয়টি মেনশন করেন। দুপুর ২ টোয় মামলার শুনানি হয়। এজি বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচিল তোলার কাজে কমিটিকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইনশৃঙ্খলা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ। আজ বিক্ষোভ সামলানো গেছে৷ আগামীকাল কি হবে নিশ্চিত নয় পুলিশ।" এছাড়া হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি থেকে অব্যাহতিও চান এজি৷

সারদাকাণ্ডে নতুন চমক, একাই ২৬০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন এক জনপ্রতিনিধি

বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা প্রাঙ্গনে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ধুন্ধুমার বেঁধেছিল বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, গোলমাল চলে৷ হাইকোর্ট এর আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। এবং বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গঠন। করেন। সেই কমিটি পাঁচিল তোলার কাজ করাচ্ছিল। কিন্তু পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এনিয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের ক্ষমতা রয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করার। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা এবং শান্তিনিকেতন ইতিহাসের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পৌষমেলার একটা ইতিহাস আছে৷ বিশ্বভারতী চাইলেও তা বন্ধ করতে পারে না।

Share this article
click me!