ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির শিকার এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা খুইয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানীতির অধ্যাপক।
ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির (Bank Fraud Case) শিকার এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা খুইয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানীতির অধ্যাপক। দক্ষিণ কলকাতার কসব এলাকার ওই বাসিন্দা এই ঘটনায় কার্যতই অবাক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে কষ্ট করে উপার্জনের একটা মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এবার নতুন পদ্ধতি ধরে টাকা জালিয়াতি করছে অপরাধীরা বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের (Police)।
পুলিশ সূত্রে খবর, নতুন অ্যাপ ডাউন লোড করানোর মাধ্যমেই ১৫ মিনিটের মধ্য ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা হাপিস করেছে জালিয়াতরা। তবে অ্যাপ ডাউনলোড করানো পুরনো স্টাইল হলেও ফোন করার ধরণে প্রযুক্তি অভিনব কায়দায় মাথা খাটিয়েছে অপরাধীরা। আর সেখানেই ফাঁদে পা দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানীতির অধ্যাপক। সাধারণত যে কোনও ফোনের ট্রু কলার সেট করা থাকলে অন্য প্রান্ত থেকে কেউ ফোন করলে, তাঁর নাম ডিটেলস দেখানো হয় ফোনের উপরে। বহু মানুষ এই ট্রু কলারের উপরেই ভরসা করেন। তাই তাঁদের ফোনে সেই ট্রু কলারে যাতে ব্যাঙ্কের নাম উঠে আসে, সেই ব্যবস্থাই করেছেন জালিয়াতরা। ওই অধ্যাপকের স্মার্ট ফোনেও ভেসে উঠেছিল রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কটির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার নাম। আর এখানেই শিকার হন তিনি। জালিয়াতিদের কথা অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নেন। এদিকে এটিএম বা ক্রেডিট কার্ডের নাম্বর সরাসরি না চায়নি জালিয়াতরা। এখানেও তাঁদের অভিনবত্ব। তারা বিশ্বাস আদায় করে ব্যঙ্কের পেজেই সেটা অধ্যাপককে দিয়ে ফিলাপ করান। মুহূর্তেই এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যে লোপাট ওই মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন, Covid-19 Precaution Dose: আজ থেকেই শুরু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি, জানুন কীভাবে পাবেন এই টিকা
আরও পড়ুন, COVID 19 Omicron Tally- Live Updates: রাজ্য সহ দেশে চলছে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ
পুলিশ জানিয়েছে, ওই অধ্যাপক অভিযোগে জানিয়েছেন, শনিবারে তার কাছে একটি ফোন আসে। যেহেতু ট্রু কলারে ভেসে ওঠে ব্যঙ্কের শাখার নাম, তাই তিনি তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। ব্যাঙ্কের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁকে কেওয়াইসি আপডেট করানোর নাম করে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে জালিয়াতরা। আর এদিকে ওই মিরর অ্যাপের মাধ্যমে তারা দেখে নেয় ব্যাঙ্কের লেনদেন। ব্যঙ্কের ওয়েব পেজেই সেটা অধ্যাপককে দিয়ে যাবতীয় তথ্য ফিলাপ করান। এরপরেই মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা তুলে ফেলে অপরাধীরা। ইতিমধ্যেই লালবাজারের গোয়েন্দারা এই ইস্যুতে গ্রাহকদের সতর্ক করা শুরু করেছেন। তবুও শেষ রক্ষা হল না। আবারও কলকাতার বুকে ঘটে গেল জ্বলজালিয়াতির ঘটনা।