প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ টেনে এনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে খোঁচা দিলেন বাবুল। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তাঁর কটাক্ষ, রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন কি না, তা স্পষ্ট করুন মুখ্যমন্ত্রী।
সারদা কাণ্ডে রাজীব কুমারকে হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। এই আবহেই প্রায় দেড় বছর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবারই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে বুধবার তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই প্রথম মমতা- মোদী সাক্ষাৎ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও বয়কট করেন মমতা। যাননি নীতি আয়োগের বৈঠকেও।
আরও পড়ুন- দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা
এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে যাচ্ছেন যাতে রাজীব কুমারকে ছাড় দেওয়া হয়। কারণ রাজীব কুমার ধরা পড়লে যদি ওই ট্রাঙ্কগুলি খোলা হয় তাহলে দিদির ভাইয়ের ছবিগুলিই বেরোবে। একজন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, সেটা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা চলছে। এটা বাঙালিদের কাছে লজ্জার বিষয়। এই লজ্জাটা তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে রাজীব কুমারের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রসচিবের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।'
পরে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে বাবুল আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে, তা নিয়ে সাংবিধানিকভাবে বা নৈতিকভাবে কোনও প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তো সমাজের আয়না। সেখানে এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থাকলে তা কবে, কখন তা মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে তা স্পষ্ট করে জানানো হোক। এটা তো কোনও গোপন বৈঠক নয়। এতদিন তো অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নেননি। এখন রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কোন কোন দাবি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন. তা স্পষ্ট করে দেওয়া হোক।'
প্রসঙ্গত রাজীব কুমারের নাগাল পেতে রাজ্য সরকারের উপরেও চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। এ দিনও নবান্নে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে দু'টি চিঠি দিয়েছে এসেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকেও সমর্থন করেছেন বাবুল। তাঁর দাবি, ছুটিতে থাকলেও রাজীব কুমারের মতো উচ্চপদস্থ অফিসর কোথায় রয়েছেন, তা সবসময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রসচিবের জানা উচিত।