ঘূর্ণিঝড়ের পর বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় পাঁচদিনে পা রেখেছে বাংলা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। শুরু হয় বিক্ষোভ। যার জেরে এবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্য়ুৎ ফিরে এসেছে। পুনরায় বিদ্যুৎ ফিরে আসার খবর জানাল সিইএসসি ও ডব্লিউবিপিডিসিএল।
আরও পড়ুন, করোনা রুখতে সতর্কতা, কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান পিছোতে আর্জি রাজ্য়ের
সিইএসসি সূত্রে খবর, শহরের কোথায় কোথায় বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে তার তালিকা মিলেছে। জানানো হয়েছে, যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণি, শীলপাড়া, লেকটাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজার, রাস বিহারী কানেক্টর, বিবি চ্যাটার্জি রোড এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড জানিয়েছে, সল্টলেক ও নিউটাউনে ফিরেছে বিদ্যুৎ। স্বাভাবিক হয়েছে বাগুইআটি, তেঘড়িয়ার একাংশের বিদ্যুৎ পরিষেবা। কেষ্টপুর, বাঁশদ্রোণীর একাংশেও ফিরেছে বিদ্যুৎ। বারাসাত, গড়িয়ার একাংশেও বিদ্যুৎ পরিষেবা এখন স্বাভাবিক হয়েছে। জেলায় কাঁথি, তমলুক, এগরার একাংশে , কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট, গয়েশপুর ও কল্যাণীর মতো বহু জায়গায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় আমফান এক করলেও রাজনৈতিক দূরত্ব জারি, বাংলার আকাশ পথে মোদী-মমতা
অপরদিকে, টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পিছনেও করোনা সতর্কতা এবং লকডাউন পরিস্থিতিকেই মূলত দায়ী করছেন বিদ্যুৎকর্তারা। তবে এর জন্য় গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, 'মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছি। করোনা-লকডাউনে ফল্ট মেরামতির কাজ যে কর্মীরা করে থাকেন, তাঁরা অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার ট্রেনে, বাসে যাতায়াত করার জন্য় লকডাউনে তাঁরা আসতে পারেননি। সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে আনা সম্ভব হয়েছে। কর্মী সমস্যার কারণেই ফল্ট সারাই না হওয়ায় সরবরাহ এখনও পর্যন্ত ১৫ শতাংশ জায়গায় স্বাভাবিক হয়নি।'
আরও পড়ুন, ইলিশের মরশুমে ক্ষতির আশঙ্কায় মৎস্যজীবীরা, আমফানের জেরে জলের নীচে অসংখ্য় নৌকা-ট্রলার