একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ এবারের পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামলেও একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের সন্তান-আত্তীয়দেরও আমরা ভোটের ময়দানে দেখতে পাই। এবারের তৃণমূল ৪০ জন নতুন মুখকে ভোটের লড়াইতে নামায়।
বিপুল ক্ষমতায় ইতিমধ্যেই ফের কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool-Congress)। বৃহস্পতিবারই তৈরি হয়ে গিয়ছে পুরবোর্ড। এমতাবস্থায় এবার রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার ভোট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। কিন্তু তারমধ্যেই শাসকদলের সবথেকে বেশি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দঁড়িয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কখনও কৃষ্ণনগর তো কখনও বসিরহাট, আবার কখনও পুরুলিয়া তো কখনও হাওড়া, প্রতি জায়গাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই জনভিত্তি কমেছে ঘাসফুল শিবিরের। এই সমস্যা দূর করতে বারেবারেই মাঠে নামতে দেখা খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। এমতাবস্থায় ফিরহাদ হাকিমের কাঁধে ফের কলকাতার মেয়রের(Mayor of Kolkata) দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর দলের প্রথমসারির নেতা-নেত্রীদের বড় বার্তা দিতে দেখা গেল মমতাকে।
আরও একবার জয়ী কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মমতা সাফ জানালেন দলে কোনও লবি নেই। ভালো কাজ করলে তা নজর এড়িয়ে যাবে না শীর্ষ নেতৃত্বের। এমনকী লবি রাস্তায় হেঁটে যে আদপেই দলের ক্ষতি হচ্ছে তাও বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে কলকাতায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারই তৈরি হয়ে গিয়েছে কলকাতার পুরবোর্ড। পুরবোর্ড গঠনের পরেই মততার বার্তা, “কাউন্সিলরদের কাজ সহজ নয়। অভিজ্ঞতার দরকার হয়। সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কে কেমন কাজ করছেন, তার রিপোর্ট নেওয়া হবে। ভালো ভাবে কাজ করুন, আপনারও ভালো হবে। দলের উপর আস্থা রাখুন, হবে। এখানে কারও কোনও ব্যক্তিগত লবি নেই। দলে একটাই লবি, আর তা হল জোড়াফুল।”
আরও পড়ুন- বড়দিনে শীতঘুমে শীত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কমবে ঠাণ্ডার কামড়, বলছে হাওয়া অফিস
একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ এবারের পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামলেও একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের সন্তান-আত্তীয়দেরও আমরা ভোটের ময়দানে দেখতে পাই। এবারের তৃণমূল ৪০ জন নতুন মুখকে ভোটের লড়াইতে নামায়। তালিকায় ছিল নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা, নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ। প্রত্যেকেই জিতে এসেছেন। অন্যদিকে প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরাও এবার তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছেন। তাই নতুন মুখেদের কাছে মমতার এই বার্তা যে বিশেষ ভাবে ছাপ ফেলতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একদিকে যেমন নতুন মুখের ছড়াছড়ি ছিল, তেমনই ৪৫ শতাংশই মহিলা। এঁদের প্রায় সকলেই জিতেছেন। তাদের কাঁধেও তুলে দেওয়া হয়েছে একাধিক গুরু দায়িত্ব।