হলদিয়া রিফাইনারির দুর্ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই অগ্নিদগ্ধদের গ্রীণ করিডোর দিয়ে কলকাতায় আনা হয়েছে।
হলদিয়া রিফাইনারির দুর্ঘটনা (Haldia refinery Accident) নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, হলদিয়া রিফাইনারিতে সংষ্কারের কাজ চলাকালীন ওয়েলডিং মেশিন থেকে আগুনির ফুলকি ছিটকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। ঘটনায় ৩ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্য়ু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে প্রায় ৪৪ জন। ইতিমধ্যেই অগ্নিদগ্ধদের গ্রীণ করিডোর দিয়ে কলকাতায় আনা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)।
মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই আগুন লাগে হলদিয়া রিফাইনারিতে (Haldia refinery Accident) । জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরেই ওই বড়সড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মূলত প্রতিবছরেই হলদিয়া রিফাইনারিতে শার্টডাউন অর্থাৎ রিফাইনারি সংষ্কারের কাজ হয় সাট ডাউনের অর্থাৎ রিফাইনারি সংষ্কারের কাজ করতে গিয়েই বিপত্তি হয়। সংষ্কারের কাজ চলাকালীন ওয়েলডিং মেশিন থেকে আগুনির ফুলকি ছিটকে যায় ন্যাপথা ট্যাঙ্কে। তখনি ৩ জনের মৃত্য়ু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয় প্রায় ৪৪ জন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৭ জন আহত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, 'হলদিয়া আইওসি-র অগনিকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। তিনটি মূল্যবান প্রাণ নষ্ট হয়েছে। এই বিপদের দিনে পরিবারের পাশে আছি। গ্রিণ করিডোর দিয়ে জখমদের কলকাতায় আনা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' হলদিয়া রিফাইনারি সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন ৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন হলদিয়ার হাসপাতালে (Haldia Hospital) চিকিৎসাধীন। বাকিদের গ্রীণ করিডোর দিয়ে কলকাতায় আনা হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টায় আসবেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র।
দুর্ঘটনার পরপরেই কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের চেষ্টায় তাঁদের সংস্থার নিজস্ব হাসপাতাল সহ অন্যান্য নার্সিংহোম চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন (Fire Engine) আগুন নেভানোর কাজ করে। অধিকাংশ শ্রমিকেরই প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ আগুনে পুড়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার কারখানায় আগুন লাগে। মৃত্যুর ঘটনাও হয়েছে। তারপর আবারও এই ধরনের আগুনের ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার আহত শ্রমিকদের পাশে হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলর হাজির হন। তবে এখনও পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনও বিশেষ কিছু তথ্য জানাচ্ছেন না। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (পূর্ত) শেখ আজগর আলির দাবি স্থানীয়রা বেশিরভাগই স্থানীয় বাসিন্দা নন। অনেকেই ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। এদিনের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।