অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পার্টি অফিসের পুজো হলেও ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যাবেন না। তিনি পার্টি অফিসে যাবেন ৫ মে। সেই দিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন একটি কার্যালয় উদ্বোধন হওয়ার কথা হয়েছে। সেই নতুন কার্যালয় থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় 'দিদিকে বলো-২' কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। একই দিনে দলের সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করতে পারেন। শোনা যাচ্ছে দলের বিধায়ক তথা মমতার দীর্ঘদিনের সহকর্মী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নতুন এই কার্যালয়ের গৃহপ্রবেশের পুজো করবেন।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ ৩ মে ইনস্টার্ন মেট্রো বাইরেসের সাউথ ক্যানাল রোডের একটি অতিথিশালায় তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিস উদ্বোধন হওয়ার কথা। আপাতত এখান থেকেই তৃণমূলের কাজকর্ম পরিচালিত হবে। অন্যদিকে ৩৬জি তোপসিয়া রোপ্টের একটি পার্টি অফিস পুরোপুরি তৈরি হচ্ছে। এই পার্টি অফিসের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালিত হবে সাউল ক্যানাল রোডের অস্থায়ী পার্টি অফিস থেকেই।
তবে শোনা যাচ্ছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পার্টি অফিসের পুজো হলেও ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যাবেন না। তিনি পার্টি অফিসে যাবেন ৫ মে। সেই দিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি নতুন এই কার্যালয় থেকেই 'দিদিকে বলো-২' কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই পর্বে তিন দফায় রাজ্য জুড়ে 'দিদিকে বলো-২' কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রথম পর্বের মতই দলের নেতাদের নিচুতলার কর্মীদের বাড়়িতে গিয়ে রাতে থাকতে হবে। নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে তাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। তাদের অভাব আর অভিযোগের কথাও শুনতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিদিকে বলো কর্মীসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন ২৯ জুলাই ২০১৯ সালে। লোকসভা নির্বাচনে একাধিক আসন হারানোর পরে এই কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রসকে বিধানসভার ভোট প্রচারে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অনেকগুলি আসন হারতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভোটকুশলী হিসেবে নিয়োগ করেন প্রশান্ত কিশোরকে। শোনা যায় প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশলের মধ্যেই নাকি পড়ে দিদিকে বলো কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক কাছে নিজেদের অভাব অভিযোগগুলি তুলে ধরতে পারেন। পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ অনেকটাই বাড়ে। এই কর্মসূচি অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনে।