স্কুল-কলেজ বন্ধ, স্থগিত হয়ে গিয়েছে বিধানসভা অধিবেশনও। করোনা আতঙ্কে গ্রাসে গোটা রাজ্য়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলেঘাটা আইডি-তে বেড-সংখ্যা বাড়ানোই শুধু নয়, আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হচ্ছে কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে। এছাড়াও নাইট সেল্টারের ব্যবস্থা থাকছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
করোনা সংক্রমণে কার্যত মৃত্যুমিছিল চলছে ইটালিতে। ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতেও আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। করোনা থাবা বসিয়েছে ভারতে, বাদ নেই কলকাতা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি এ রাজ্যের এক পদস্থ আমলার ছেলে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে না তো! যতদিন যাচ্ছে, আশঙ্কা ততই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ফের নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদেরও। বৈঠকে শেষে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালেও 'নো রিফিউজাল', করোনা নিয়ে ব্যবসা করলে দেখে নেবেন মমতা
এ রাজ্যে সংক্রমণজনিত যে কোনও রোগের চিকিৎসা হয় কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০০টি অতিরিক্তি বেডের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের জন্য় ৫০ বেডের আলাদা ওয়ার্ড চালু হবে আরজি কর হাসপাতালে। এখানেই শেষ নয়, টালিগঞ্জের বাঙুর হাসপাতালের নতুন ভবনে ১৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর করার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হবেন, তাঁদের ও পরিবারের লোকেদের জন্য যাতায়াতের জন্য বসবে আলাদা 'এক্সিট গেট'। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজারহাটে ক্যানসার হাসপাতালে ৫০০ বেডে নয়া ওয়ার্ড চালু করা হবে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তের জন্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, ওই ওয়ার্ডটি শোধন করে ফের ক্যানসার রোগীর জন্য ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেরিতে হলেও মাঠে নেমে করোনা মোকাবিলায় স্টেট ব্যাটে খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, সোমবারও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩১ মার্চের পরিবর্তে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী।