ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৮০০-র দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন আক্রন্তের সংখ্যা। অন্যদিকে রাজ্যে একলাফে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ৬ থেকে ১১ হয়ে গেল। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্বাস্থ্য-আধিকারিকেরা।
গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও বেড়ে চলেছে করোনা উদ্বেগ। এমতাবস্থায় বাংলাতেও বাড়ছে উদ্বেগ। এমতাবস্থায় এবার আশঙ্কার কথা স্বীকার করে রাজ্যবাসীকে নতুন করে সতর্ক বার্তা দিতে দেখা গেল মমতাকে। প্রয়োজনে ৩ জানুয়ারি থেকে কন্টেনমেন্ট জোন করার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মমতা। এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৮০০-র দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন আক্রন্তের সংখ্যা। অন্যদিকে রাজ্যে একলাফে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ৬ থেকে ১১ হয়ে গেল। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্বাস্থ্য-আধিকারিকেরা। তবে রাজ্যে টিকাকরণের গতি নিয়ে খানিক হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতাকে। এই প্রসঙ্গে মোদী সরকারকেও একহাত নিতে দেখা গেল মমতাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই ডোজের টিকাকরণ সম্পন্ন হওয়ার পর এবার তৃতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়ার উপর জোর দিতে চলেছে মোদী সরকার। সেউ সঙ্গে ১৫ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজ পাননি। আর এর জন্য এবার মোদী সরকারকেই সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন মমতা। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এমনকী সকলের টিকাকরণ শেষ হওয়ার আগেই বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতর।
আরো পড়ুন- রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রণের চোখ-রাঙানি, ফের স্কুল-কলেজ বন্ধের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে করোনা রুখতে রাজ্যের সমস্ত বিভাগকেই নতুন করে সতর্ক করতে দেখা গেল মমতাকে। এমনকী প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কথা বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন শিক্ষা-সচিবকে। অন্যদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হতে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে ইতিমধ্যেই আরও নতুন ৫ জন ওমিক্রমন পজেটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছে। এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ১০৭ জনের ওমিক্রন টেস্ট হলে তাদের মধ্যে ৫ জনের শরীরে ধরা পড়ে এই ভাইরাস। তবে সকলেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। অন্যদিকে নতুন বছরে শুরু থেকেই কলকাতায় নতুন করে কোভিড বিধি লাঘুর উপর জোর দেওয়ার কথাও ভাবছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রয়োজনে ওয়ার্ড ভিত্তিক কন্টেনমেন্ট জোন করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।