ফাইল দিচ্ছে না ইডি, রোজভ্যালি তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে সংঘাত

  • রোজ ভ্যালি তদন্ত নিয়ে এবার সংঘাত
  • সংঘাতে জড়াল দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
  •  চিটফান্ড তদন্তে বেশকিছু ফাইল দিচ্ছে না ইডি
  • এমনই দাবি করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা 
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 9, 2020 10:27 AM IST / Updated: Sep 09 2020, 04:17 PM IST

রোজ ভ্যালি তদন্ত নিয়ে এবার সংঘাতে জড়াল দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই-এর অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও চিটফান্ড তদন্তে বেশকিছু ফাইল দিচ্ছে না এনফোর্সমেন্ট  ডিরেক্টোরেট। যার ফলে তদন্ত গতি পাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

এক লাখ দেশবাসীর সুরক্ষায় ১৩৮ জন পুলিশ, কঙ্গনাকে কেন ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা- প্রশ্ন মহুয়ার

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সিবিআইয়ের দাবি সেই সময় ইডি-কে রোজভ্য়ালি নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন  তাঁরা। তারপর থেকে বেশকিছু তথ্য় জানার জন্য ৫বার চিঠি ও নোটিশ পাঠানো হয়েছে ইডি কর্তাদের কাছে।  প্রথমের দিকে রোজ ভ্যালির তদন্তে  ছিলেন ইডি-র আধিকারিক মনোজ কুমার। পরবর্তীকালে  যাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনা অনেক কিছু প্রশ্ন তুলে দেয়।

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম কেন শ্যামাপ্রসাদের নামে, কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

সিবিআই আধিকারিকরা দাবি করেছেন রোজভ্যালির অফিসে এসে বেশকিছু  গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তারা। সিবিআই-এর তরফে বলা হয়েছিল, রোজভ্যালির  টাকা কাউকে  ট্রান্সফার না করতে। অথচ দেখা যায়, প্রতি মাসে বেতন বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কেন এই টাকা দেওয়া হয়েছে, তার কোনও উত্তর মেলেনি। এখানেই শেষ নয়। সিবিআই আধিকারিকরা আরও জানতে পেরেছেন, গৌতম কুন্ডুকে গ্রেফতারির সময় তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। এমনকী ফোনের কল লিস্ট বা ডিটেলস বের করা হয়নি। অর্থাৎ যে গ্রেফতার করার পর যে সাধারণ নিয়ম তাও মানেননি ইডি আধিকারিকরা। এ থেকেই বেশকিছু প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে। জানা  গিয়েছে, ২০১৮ সালে ওই সময় রোজভালির তদন্তে ছিলেন মনোজ শর্মা।  

'রাজ্য়ে দুর্গাপুজোয় নাইট কারফিউ', হোয়াটসঅ্যাপ ছড়ালেই 'হাজতবাস'

এদিকে রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের সারদা, নারদা তদন্ত নিয়ে সরগরম হতে চলেছে রাজ্য়। ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে চিটফান্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। সেই জায়গায় দায়িত্বে আসছেন দিল্লির সিবিআই অফিসার। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই চিটফান্ড ও নারদা মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই।

পাঁচ তৃণমূলে নেতার সম্পত্তির হদিশ পেতে আগেই নথি জমা দিতে বলেছে সিবিআই। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য়ের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক বলেন, নির্বাচনের আগে এরকম আরও অনেক ঘটনা হবে। এটা নতুন কিছু নয়। মানুষ এখন বিষয়টা বুঝে গেছে। যদিও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য়ে তথাগত বর্মনের নেতৃত্বে এতদিন সেভাবে  গতি পাচ্ছিল না চিটফান্ড তদন্ত। সেকারণে সারদার তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি তথাগত বর্ধনের জায়গায় বসা নো হচ্ছে  দিল্লির এক  অফিসারকে। শোনা যাচ্ছে, অতিরিক্ত পুলাশ সুপার মর্যাদার এক আধিকারিক আসছেন সারদার তদন্তের গতি আনতে।

"

এছাড়াও খবর, বিহার থেকেও সারদা-রোজভ্যালির তদন্তে নিয়োগ করা হচ্ছে দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার অফিসারকে। এখানেই শেষ নয়,চিটফান্ডের তদন্তে গতি  আনতে ইকোনমিক অফেন্স  উইংয়ে আনা হয়েছে তিন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিককে। শীঘ্রই  সারদা, নারদ কাণ্ডে ঝাঁপাবে তারা। এদিকে, নারদ কাণ্ড নিয়ে সিবিআই-এর তৎপরতা সামনে আসতেই মুখ খুলেছেন নারদ কাণ্ডের স্টিং অপারেশনকারী ম্যাথু স্যামুয়েল। এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেছেন, দেরিতে হলেও সিবিআই যে এই বিষয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছে তা অভিনন্দনযোগ্য। 
 

Share this article
click me!