মা দুর্গার আগমন বার্তায় সেজে উঠেছে প্রকৃতি। বছর ঘুরে আবার বাপের ঘরে ফিরছে মা উমা। আর মেয়ে ঘরে ফেরার আগেই সেই ক্লাবগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে সাজো সাজো রব। সেরার লড়াইয়ে কোন প্যান্ডেল এগিয়ে থাকবে এবং দর্শনার্থীদের বেশি মন কাড়বে সে চিন্তায় ব্যস্ত সমস্ত পুজো কমিটিগুলিই। তাদের মধ্যেই আবারও একটি নতুন অভিনব ভাবনা দিয়ে নিজেদের পুজো প্যান্ডেল সাজাতে চলেছে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির-এর পুজো।
এই বছর ১১০ তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। এবছরে তাদের ভাবনায় ফুটে উঠবে বাংলার বেশ কিছু প্রাচীন শিল্পকলা। বাংলার বুকে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের নিজস্ব শিল্পকলা। যেমন নদিয়ার বাদকুল্লার আসন শিল্প, দিনাজপুরে কুশমন্ডি গ্রামের বাঁশের কাজ, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা গ্রামের পটচিত্র, পুরুলিয়ার মুখোশ, বর্ধমানের শোলা, বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্প। এই সব মিলিয়ে চিরন্তন গ্রাম বাংলার সব শিল্পকলা ফুটে আসবে এই পুজোতে। আলো থেকে শব্দ সবেতেই থাকবে বাংলার লোকায়ত রুপের ঝলক আর শিল্পীর কল্পনায় জেগে উঠবে বঙ্গদর্শনের ছোঁয়া। মন্ডপে প্রবেশের পর প্রতিটি শিল্পকলার জন্য এ-একটি ভাগ থাকবে। সাবেক প্রতিমার অলংকারে থাকবে গ্রামবাংলার ছোঁয়া।
এছাড়া তাদের এই পুজোয় থাকছে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার মূল্যের স্কলারশিপ।
ক্লাবটির ঠিকানা হল ১৬, বৃন্দাবন মল্লিক ফার্স্ট লেন, কলকাতা- ৯। এই থিম কতটা ফলপ্রসূ হবে তা জানতে হলে পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে, এবং অবশ্যই ঘুরে যেতে হবে বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির-এর এই বিখ্যাত পুজো থেকে।