লকডাউন 'এফেক্ট',কল খুলতেই কালো জল কলকাতায়

  • লকডাউনে বাড়ির বাইরে মেপে পা
  •  বাজারে যাওয়ার নিতে হচ্ছে সপ্তাহের হিসেব
  •  অথচ বাড়ি ফিরেই পরিশ্র্ত জলের অভাব
  • কালো জল তাল কাটছে মহানগরের একাংশের 
     

Asianet News Bangla | Published : Apr 7, 2020 9:17 AM IST / Updated: Apr 07 2020, 02:50 PM IST

লকডাউনে বাড়ির বাইরে মেপে পা। বাজারে যাওয়ার আগে বুঝে নিতে হচ্ছে সপ্তাহের হিসেব। অথচ বাড়ি ফিরেই পরিশ্র্ত জলের অভাব তাল কাটছে মহানগরের একাংশে। রান্না করতে গিয়ে এই জল দেখেই আর কাওয়ার ইচ্ছে  থাকছে না কারও। বেগতিক দেখে জলও কিনে আনতে হচ্ছে বাজার থেকে। 

ওষুধের জন্য় বন্ধু মোদীও শত্র্ু ট্রাম্পের, কেন করোনায় মহৌষধি হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন.

সকালবেলা রাস্তার জলের ট্যাপ খুললেই বেরোচ্ছে কালো জল। পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করার প্রশ্নই ওঠে না! এতটাই নোংরা জল যে ব্যবহার করা যাচ্ছে না বাড়ির অন্য কোন কাজেও। লকডাউনে গৃহবন্দি পুরবাসীদের কাছে এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। এমনই হাল কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পুটিয়ারিতে।

মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে করোনা, টোটকা দিলেন কলকাতার 'বদ্যি'.

এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, কলকাতা পুরসভার নিকাশির কাজ চলছিল পূর্ব পুটিয়ারিতে। অ্যাডেড এরিয়া হওয়ায় দীর্ঘদিনের নিকাশি সমস্যা ছিল এই অঞ্চলে। সেই সমস্যা মেটানোর জন্যই গভীর নিকাশি নালা ও ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে বড় প্রজেক্ট রয়েছে এই এলাকায়। সেই কাজ চলতে চলতেই আচমকা লকডাউন। তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ করে বাড়ি ফিরে গেছেন শ্রমিকরা। যার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন এলাকার মানুষ। 

কেন্দ্রের পাঠানো পিপিই-র রং হলুদ কেন, করোনাতেও 'গেরুয়াকরণ' দেখছেন মুখ্য়মন্ত্রী.

হঠাৎ যে এই পরিস্থিতি হবে তা আশা করেননি কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড ১১৪কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ মন্ডল। জানা গিয়েছে, এখানকার বন্দিপুর রোডে নিকাশির কাজ হচ্ছিল। সেই কারণেই কিছু এলাকায় এই ধরনের কালো জল বের হয়ে  থাকতে পারে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। পরিসংখ্য়ান বলছে, রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ ছাড়িয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩ জন।

দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল ডিস্ট্য়ান্সিং মানতে গিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন দিনমজুররা। আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে দেশে। নতুন করে তাই নিকাশির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না এলাকায়। যদিও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে পরিশ্রুত পানীয় জল বাদে কীভাবে স্থানীয়রা কাজ চালাবেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

Share this article
click me!