বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার তৃতীয় দিনে এবার মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারে বিক্ষোভ। প্রাপ্য় বকেয়া টাকার দাবিতে এবার জিডি বিড়লার পর মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার তৃতীয় দিনে এবার মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারে ( Mahadebi Birla School) বিক্ষোভ (School Agitation))। প্রাপ্য় বকেয়া টাকার দাবিতে এবার জিডি বিড়লার পর মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা ( Teachers )।
মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি, ২০২০ সালে বিনা নোটিশে তাঁদের বেশ কয়েকজনকে বরখস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষা কর্মী ছাড়া রয়েছে স্কুল বাসের ড্রাইভারও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এখনও আমাদের বকেয়া টাকা দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এদিন সাতসকালেই পোস্টার, ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এদিন কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, নতুন করে স্কুল খোলার প্রথম দিনেই দক্ষিণ কলকাতার জিডি বিড়লাতেও বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক ও কর্মীরা। তাঁদেরও অভিযোগ দীর্ঘ দেড় বছরে করোনা পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে চাকরি । অথচ কেউই তাঁরা পাননি প্রাপ্য় বকেয়া টাকা। এরপরেই মঙ্গলবার প্ল্যাকার্ড হাতে জিডি বিড়লার সামনে বিক্ষোভ দেখান মোট ১১০ জন শিক্ষক ও কর্মীরা।
প্ল্যাকার্ডে তাঁদের দাবি, স্কুলের ফিজ না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের পাওনা টাকা আটকানো যাবে না। আমাদের সুবিচার চাই। বিক্ষোভরত স্কুলেই এক প্রাক্তন শিক্ষিকার বলেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না দেখিয়ে রাতারাতি নোটিস দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর আমাদের চিঠি পাই। আমি ক্লাস করাচ্ছিলাম, তখনই হাতে টার্মিনেশন লেটার পাই।' বিক্ষোভরত কর্মীদের দাবি, আমাদের প্রাপ্য় টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।' অভিযোগ, প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর কাজ করার পরেও তাঁদের বরাখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে বকেয়া টাকাও পাননি, পাননি নোটিস পিরিয়ডও। ইতিমধ্য়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এদিন ডিজি বিড়লায় পুনরায় কাজ এবং বেতনের দাবি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তবে দেড়বছর পর খুলছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। স্কুল-মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহের জন্য প্রায় দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেট৷ এদিকে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই রজ্যে স্কুল কলেজ খুলতে শুরু করেছে। তবে এর আগে মূলত অভিভাবকদের বিক্ষোভ দেখে এসেছে রাজ্য। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছিল শহরের নামজাদা স্কুল সাউথ পয়েন্ট। তারপর একে একে করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউনে প্রতিবাদের পথে নামে- দমদম সেন্ট মেরি এন্ড ডে স্কুল, একে ঘোষ মেমোরিয়াল, নারায়নপুর সেন্ট জোন্স স্কুল,তারাতলা নেচার পার্কের বিড়লা ভারতী স্কুলের অভিভাবকরা। তবে কোভিডের দ্বিতীয় বর্ষে প্রেক্ষাপট বদলেছে। অভিভাবকদের মতোই অসহায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উপার্জনের রাস্তা হারিয়ে এখন তারাও বিক্ষোভের পথেই নেমেছে।