নবমী নিশি পোহালেই বিজয়া দশমী। করোনা আবহে এবার বিসর্জনে জমায়েত রুখতে পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ। সবকিছু যাতে নিয়ম মেনে হয়, সেদিকে নজর রাখছে ফোরাম ফর দুর্গাপুজোও।
আরও পড়ুন: অষ্টমীর সন্ধীক্ষণে মল্ল রাজাদের হুঙ্কার, কামান দাগানোর শব্দে গর্জে উঠল বিষ্ণুপুর
করোনা কোপে বাঙালির দুর্গোৎসবও। দর্শনার্থী টানার প্রতিযোগিতা নয়, এবছর হাইকোর্টের নির্দেশের মণ্ডপের চারপাশে ব্যারকেড করে ঘিরে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা। কোথাও ব্যারিকেডে, তো কোথাও আবার দড়ির গায়ে ঝুলছে 'নো এন্ট্রি' বোর্ড। সংক্রমণের ভয়ে পুজোর সময়ে রাস্তা বেরোনোর সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। আর তো হাতে মোটে একদিন। সোমবার বিজয়া দশমা। পুজো যখন হয়েছে, তখন যথারীতি গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনও হবে। মানুষের জমায়েত কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে? রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য তথা বিদায়ী মেয়র-ইন-কাউন্সিল দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ঘাট-কে বিসর্জনের জন্য় চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবার ঘাটগুলি পর্যাপ্ত আলো ও ফুল-বেলপাতা-সহ অন্য সামগ্রী ফেলার আলাদা জায়গা থাকবে। পুজো কমিটির পাঁচজনের বেশি সদস্য ঘাটে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রতিমা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ধাপায়। কলকাতার বন্দরের ডিসি সৈয়দ ওয়াকার জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময়ে প্রতিটি ঘাটে থাকবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা। জলপথে, স্থলপথে, এমনকী সিসিটিভির মাধ্যমে চলবে নজরদারি। শুধু তাই নয়, বাজে কদমতলা, নিমতলার ঘাটে জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখা যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন।
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোর পোস্ট, মুহূর্তে ভাইরাল অমিতাভ, দেবীর ছবি শেয়ার করে কী লিখলেন বাংলার জামাই
উল্লেখ্য, প্রতিবছর রেড রোড থেকে শোভাযাত্রা করে বাছাই করে কয়েকটি বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা ভাসানের জন্য় নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে। কিন্তু করোনার জন্য পুজো কার্নিভাল বাতিল করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ভাসানের আগে ঠাকুর দেখা বা ভাসান দেখার কোনও সুযোগ নেই সাধারণ দর্শনার্থীদের।