বিধানসভার অধিবেশন ঘিরে ফের নতুন করে টুইট রাজ্যপালের । রাজ্যের পাঠানো সুপারিশ ফেরত পাঠিয়েছেন ধনখড়,তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন বিধানসভার অধিবেশন শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
বিধানসভার অধিবেশন ঘিরে ফের নতুন করে টুইট রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ৭ মার্চ থেকে শুরু করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোটের (WB Municipal Election 2022 ) দিনেই অধিবেশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের পাঠানো সুপারিশ ফেরত পাঠিয়েছেন ধনখড়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন বিধানসভার অধিবেশন শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
রাজ্য়পালের বক্তব্য, ৭ মার্চ থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার যে সুপারিশ রাজভবনে পাঠানো হয়েছে, তা সংবিধান মেনে করা হয়নি। সেই কারণে অধিবেশন ডাকার জন্য ওই সুপারিশ ফেরত পাঠানো ছাড়া রাজ্যপালের কাছে আরও কোনও উপায় নেই। টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সুপারিশ অনুযায়ী ৭ মার্চ দুপুর দুটোর সময়, বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ডাকার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সুপারিশ ফেরথ পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বক্তব্য তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি সুপারিশটি পান। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো ওই সুপারিশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উটেছে তারপেরও কেন সুপারিশটি ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী একমাত্র রাজ্যমন্ত্রীসভার অনুমোদন পাওয়ার পরেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য সুপারিশ করতে পারেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী। অথচ রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী যে সুপারিশটি পাঠিয়েছেন, তাতে মন্ত্রীসভার অনুমোদেনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোটের দিনেই অধিবেশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ১৭৪ নং ধারা উপধার ২ এর অধীনে ১২ ফেব্রুয়ারি স্থগিত থাকছে অধিবেশন।'
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপালের ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্বে। কথা বলেছেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। এরই মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য়পালকে সরানোর দাবিতে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৭০ নং ধারায় রাজ্যসভায় এই প্রস্তাব আনা হয়। মূলত চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন অধক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মমতা। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কোভিড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন মমতা নবান্নে বলেন, 'আমি রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি। ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছি। আমি দুঃখিত এর জন্য। এর জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'