প্রাইমারি টেট বিতর্কে হস্তক্ষেপ হাইকোর্টের, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

আজই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিব ও সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Jun 13, 2022 11:54 AM IST

২০১৭ সালে যে চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, সেই নিয়োগ বেআইনী। সোমবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়ায় গাফিলতি ও অস্বচ্ছতা রয়েছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সোমবারই সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিব ও সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।

হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী টেটের পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ফলপ্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ওই বছরই প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পরের বছর অর্থাৎ, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগে প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষককে হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট জানিয়েছে সিবিআই চাইলে আবার এফআইআর করেও তদন্ত শুরু করতে পারে। একই সঙ্গে ওই ২৬৯ জন চাকরিরতকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, তাঁরা মঙ্গলবার থেকে আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। বেআইনীভাবে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রমেশ আলি নামে এক ব্যক্তি। 

মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে জানান, বেআইনি ভাবে দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ করার উদ্দেশ্য ছিল অতিরিক্ত প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া। মামলার শুনানিতে আদালত প্রশ্ন তোলে একই নিয়োগের ক্ষেত্রে কী দুবার মেধাতালিকা প্রকাশ করা যায়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আইনজীবী জানান, এই নিয়ম সংসদের আইনে নেই। তবে কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য থাকে। 

আদালত সংসদের এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি। কেন দ্বিতীয় তালিকার প্রত্যেকের এক নম্বর করে বাড়ল, প্রথম তালিকার কারও নম্বর বাড়ল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।

Share this article
click me!