হাইকোর্টে বড় ধাক্কা ফের রাজ্যের। ডিএ মামলার রাজ্য়ের আবেদন খারিজ আদালতে। বহাল রইল এসএটি-র নির্দেশ।
হাইকোর্টে ফের বড় ধাক্কা রাজ্যের। ডিএ মামলার রাজ্য়ের আবেদন খারিজ আদালতে। বহাল রইল এসএটি-র নির্দেশ। তিন মাসের মধ্য়ে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ রাজ্যকে। এমনটাই রায় দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারি ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হলেও সেই অনুপাতে রাজ্য সরকারী কর্মীরা ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন। ২৬ জুলাই ২০১৯ সালে এসএটি যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেই রায়ই বহাল রইল। এদিন নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতিরা বলেন, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। সেই সূত্রেই তিন মাসের মধ্য়ে রাজ্য সরকারী কর্মীদের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৩ মাসের মধ্য়েই বকেয়া পাবেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা
এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ শতাংশ বকেয়া ডিএ আগামী তিন মাসের মধ্যে মধ্যে মেটাতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের জন্য ডিএ -র গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝানোরও চেষ্টা করছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এদিন উল্লেখ করেছেন, সরকারের মূল শক্তিই সরকারি কর্মচারীরা।তাঁদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হলে, তাঁরা হতাশ হয়ে পড়বেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন, এসএসসি দুর্নীতি মামালায় ফের পরেশ অধিকারীকে তলব, উত্তরে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কর্মীদের ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল
অপরদিকে, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিএ-র গুরুত্ব মেন করিয়ে দিয়েছেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কর্মীদের ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরা করা হয়। ডিএ কীভাবে দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে কমিটিও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কমিটিও ঠিক করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।বিচারপতি আরও জানান, বিলাসিতা না হলেও ডিএ একজন কর্মীর জীবনে কতটা জরুরী। মুদ্রাস্ফীতির উপর ভিত্তি করেই ডিএ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পার্থ, আজই শুনানির সম্ভাবনা
ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারি ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের
প্রসঙ্গত, ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারি ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হলেও সেই অনুপাতে রাজ্য সরকারী কর্মীরা ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন।ফলে প্রতিমাসে কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়, একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। পরে ট্রাইবুনালের তরফে ডিএ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হলেও রাজ্যের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে। একাধিক বেঞ্চে ঘুরছে সেই মামলা। অবশেষে শুক্রবার রায় দিল আদালত।
আরও পড়ুন, 'এবার মুখ খুলব', এসএসসিকাণ্ডের মাঝেই বিস্ফোরক মমতা