হুঁশিয়ারি দিয়ে গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন দিল্লীতে হিন্দু বাঙালি ও মুসলমান বাঙালি সবাইকে বাংলাদেশী দাগিয়ে ধরপাকড় করা হয়েছে। তাদের ঘর বাড়ি, দোকান ভেঙে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হিন্দি বললে সে হিন্দু, আর উর্দু বললে সে মুসলমান। গোটা দেশ এখন এই দুই ভাষার ওপর ভিত্তি করে ধর্মের বিচার করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাকে "বাংলাদেশি" তকমা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বাঙালি পক্ষের তরফে এই মানসিকতার প্রতি ধিক্কার জানালেন সংগঠনের সভাপতি গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে এবার হিন্দিভাষী অধ্যুষিত বাংলা এলাকায় আগুন জ্বলবে।
বাঙালি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন দিল্লীতে হিন্দু বাঙালি ও মুসলমান বাঙালি সবাইকে বাংলাদেশী দাগিয়ে ধরপাকড় করা হয়েছে। তাদের ঘর বাড়ি, দোকান ভেঙে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার এরা যেমন দেখাবে, তেমনি দেখবে। বাংলায় বহিরাগত ক্রিমিনালদের সব অবৈধ ঘর-বাড়ি দোকান সব আইন-সংবিধান মেনে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেন তিনি।
উল্লেখ্যে, দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরি এলাকায় বাঙালিদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙার ও বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য "বাংলাদেশি" তকমা দেওয়ার অভিযোগ। সেই অভিযোগকে সামনে এনে ২২ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করল বাংলা পক্ষ। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।
আরও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ
আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪
এদিন সংগঠনের অন্যতম সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় কথা বললে যাতে হেনস্থা হতে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে। পাড়ায় পাড়ায় মিছিল করবে বাংলা পক্ষ। যাতে বাংলাদেশী বলে কেউ দাগিয়ে না দেয় , তার জন্য আন্দোলন চলবে। বাঙালি এখন জেগেছে। গোটা ভারতকে তাদের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই বাংলা একদিন দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। সেই গৌরবময় অতীতকে সবাইকে মনে করাতে হবে।
এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে। এছাড়াও এই মহা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা। এই মিছিল থেকে দিল্লির সরকারের বাঙালিদের ওপরে আক্রমণ, তাদের দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।