কোনওমতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ডেঙ্গু জ্বরকে। সচেতনতামূলক প্রচার করেও রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। মাত্র ২ সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজারে। সম্প্রতি এমনই উদ্বেগজনক রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর।
অক্টোবরের ২৪ তারিখ সংখ্যাটা ছিল ২৩ হাজার। মাত্র ২ সপ্তাহ ঘুরতেই বদলে গেল চিত্রটা। গত শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতরের রিভিউ মিটে জানা গেল, রাজ্যে এখন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার। যা শুনে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। সবথেকে চিন্তার বিষয়, এখন খাস কলকাতার কিছু অংশকে ডেঙ্গুপ্রবণ বলে চিহ্ণিত করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। স্বাস্থ্য় দফতরের এই চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া যে অবান্তর নয়, তার প্রমাণও পাওয়া গেছে হাতে নাতে। গত সপ্তাহেই খাস কলকাতায় দুই ব্য়ক্তির ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশকিছু অঞ্চল বাদেও কলকাতার যাদবপুর, তিলজলা,পিকনিক গার্ডেন,পর্ণশ্রী, সন্তোষপুর সার্ভে পার্ক রয়েছে এই উপদ্রুত অঞ্চলগুলির মধ্যে। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গুতে একজনও মারা যাননি। দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর মরশুম চলে যাওয়ার পরও থাবা বসাচ্ছে এই প্রাণঘাতী রোগ। যা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে,গত বৃহস্পতিবারই ট্যাংরায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে বছর ২৪-এর এক য়ুবকের। এই প্রাণঘাতী রোগেই মারা গিয়েছেন ২৮ বছরের মহিলা পুলিশকর্মী। গত ২৭ অক্টোবর সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত বুধবারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাণ হারান তিনি। এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, রাজ্য়ে ক্রমশ মাহামারির আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু।