প্রতিবছরই দক্ষিণেশ্বরে কল্পতরু উৎসব উপলক্ষ্যে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মাঝ রাত থেকেই লাইন শুরু হয়ে যায়। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের সেই লাইন পৌঁছে যায় বালি ব্রিজের ওপরে। সকাল বেলা মন্দির খোলার পর থেকেই ভবতারিণীর দর্শনের জন্য শুরু হয় মানুষের প্রতিক্ষা। পূজো দিতে মোটের ওপর সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার কাছাকাছি।
আরও পড়ুনঃ পাতা উল্টোলো ক্যালেন্ডার, রাতভর কলকাতার বুকে সেলিব্রেশন
১৮৮৬ সালে ১ জানুয়ারি রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব নিজেকে ঈশ্বরের অবতার বলে ঘোষণা করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন হয়ে বলেছিলেন তোমাদের চৈতন্য হক। এই বিশেষ দিনে ঠাকুরকে দর্শন করতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায় দক্ষিণেশ্বরে। স্কাই ওয়াক থেকে শুরু করে রেল স্টেশন, কড়া নিরাপত্তায় এদিন মুড়ে ফেলা হয়। কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লাইন সামলানোর দ্বায়িত্ব নিয়ে থাকেন পুলিশ কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ নতুন বছরে সুখবর, অবশেষে বেতন বাড়তে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের
বিভিন্ন জায়গাতে এদিন ছোট ছোট ঢালা বিক্রির স্টল দেখা যায়। মন্দিরের ভেতরেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সচল রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। যাতে কোনও সমস্যার মুখে না পড়তে হয় তাই বাড়ানো হয়েছে দুটি ট্রেন। সারাদিন এই দুই ট্রেন চলবে দক্ষিণেশ্বর রুটে। অন্যদিকে পার্কিং-এর জন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পাশাপাশি রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরেও শুরু হয়েগিয়েছে পূজো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানেও ভিড় জমিয়েছে দর্শনার্থীরা।