পুরভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে যে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো(Trinamool Supremo) ব্যাটন ধরতে পারেন সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার শেষ দফার প্রচারে নেমেই রাজ্যের উন্নতির পাশাপাশি কলকাতার সামগ্রিক বিকাশের জন্যও দিলেন একাধিক বার্তা।
গোয়া থেকে ফিরেই ভোট প্রচারে পুরোদমে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। এদিকে পুরভোটের আগে হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে খামতি দিতে রাজি নয় কোনও দলই। জনমত সমীক্ষায় ফের কলকাতা পৌরসভা তৃণমূল(TMC) ফেরার সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত থাকলেও আসন্ন পুরভোটকে(KMC Polls) মমতা যে বেশ গুরুত্ব সহকারেই নিচ্ছেন তা তার কর্মসূচিতেই পরিষ্কার। এদিকে পুরভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে যে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো(Trinamool Supremo) ব্যাটন ধরতে পারেন সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার শেষ দফার প্রচারে নেমেই রাজ্যের উন্নতির পাশাপাশি কলকাতার সামগ্রিক বিকাশের জন্যও দিলেন একাধিক বার্তা। যা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এদিন তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে এসে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের নিয়েও খানিক আক্ষেপ শোনা যায় মমতার মুখে। এমনকী দলের একাধিক কাজ নিয়ে আত্মসমালোচনাও করতে শোনা যায় মমতাকে। তবে তৃণমূলের হাত ধরেই যে আগামীতে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব তাও এদিন বারেবারে বুঝিয়ে দেন তিনি। এদিন কার্যত আত্মপ্রত্যয়ের সুরে মমতা বলেন “কলকাতায় কী হয়নি! এখানে জলের উপর কর দিতে হয় না। দিল্লিতে দু’বালতি জল নিতে গেলে টাকা দিতে হয়।” অন্যদিকে বিদ্যুৎ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ একাধিক বিষয়ে বাংলার উন্নয়ন নিয়ে নিজের দলেরই ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় মমতাকে। তাঁর দাবি শুধু মুখের কথায় নয়, কাজর ক্ষেত্রেও নজির তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- শেষ ভোটে নন্দীগ্রামে লিখেছিলেন নয়া ইতিহাস, জন্মদিনে ফিরে দেখা শুভেন্দুর রাজনৈতিক
এদিন ফুলবাগানের জনসভা থেকে মমতা আরও বলেন, “বাংলার মানুষ খুব বুদ্ধিমান। বাংলার মানুষ চান কলকাতা কর্পোরেশনে তৃণমূল কংগ্রেস থাকুক। যেই আসে আমাকে বলে, ‘আগে কিয়া থা, অব কিয়া বন গিয়া’। আমার খুব ভাল লাগে।” এখানেই না থেমে শহরের হত দরিদ্র মানুষদের পক্ষেও ব্যাটন ধরতে দেখা যায় মমতাকে। তিনি বলেন, “আমি এখনও মনে করি গরিব মানুষেরা আমাদের সম্পদ। তাদের বলে দিতে হয় না ভোট দিতে। সবার আগে দেখবেন ওরাই রান্নবান্না বন্ধ করে ভোটটা দিতে চলে যায়। এটা আমাদের গর্ব।” একইসঙ্গে বাংলার ভোটারদের জন্য প্রশংসা করতে দেখা যায় মমতাকে, “গ্রামগঞ্জে দেখা যায় ৮০-৯০ পার্সেন্ট ভোট পড়ছে। আরে আমি আমার ভোটে দেখেছি ৫৯ পার্সেন্ট ভোট পড়তে। সবচেয়ে হায়েস্ট। ওখানে খড়দায় শোভনদা লড়ছে সেখানে ৮৪ পার্সেন্ট ৯০ পার্সেন্ট ভোট পড়ছে। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে ৯০ পার্সেন্ট ভোট পড়ছে। অথচ আমাদের দেখুন আমরা সারাক্ষণ পাড়ায় থাকি, কাজ করি, অথচ অর্ধেক লোক ভোট দিতেই বের হয় না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই বার্তার মধ্য দিয়ে একদিকে মমতা যেমন শহুরে ভোটারদের রাজনীতি সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তেমনই শহুরে তৃণমূল কর্মীদের আগামীর কাজ নিয়ে আরও বেশি সচেতনও করলেন।