কোভিড কাটিয়ে সপ্তাহ শেষে লক্ষ্ণী ফেরার আশায় কলকাতার বার রেস্তোঁরার মালিকরা

এক রেস্তোঁরা মালিক তো বলেই ফেললেন যে এই সপ্তাহে যদি ভিড় বাড়ে তাহলে তাদের ইন্ডাস্ট্রি আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কারণ এখনও যদি ভিড় না হয় তাহেল বুঝে নিতেই হবে যে মানুষের করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় এখনও কাটেনি। তাই বাড়ির বাইরে বার হতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। 
 

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে তিলোত্তমা। কাটিয়ে উঠেছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus)মহামারির ধাক্কা। স্কুল কলেজ খুলছে। দোকান-বাজার থেকে শুরু করে শপিংমলও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। এই অবস্থায়ে দাঁড়িয়ে সপ্তাহেরের শেষে লক্ষ্ণীলাভের আশায় বুক বাঁধছেন কলকাতার (Kolkata) বার ও রেস্তোঁরার (bars and restaurants) মালিকরা। কারণ চলতি সপ্তাহের বুধবার থেকেই রাতের কার্ফু অনেকটাই শিথিল হয়েছে। তাই সপ্তাহের শেষে রাতের কলকাতা ভরা যৌবনবতী হয়ে সামনে আসবে বলেও অপেক্ষা করেছেন মালিকরা। 

কলকাতার বড় বড় হোটের রেস্তোঁরায় ইতিমধ্য়েই লোক বাড়তে শুরু করেছে। তাই সপ্তাহের শেষে ভিড় আরও বাড়বে বলেও আশা করেছেন মালিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার এক রেস্তোঁরার মালিক জানিয়েছে, সপ্তাহ শেষে ভিড় বাড়বে ভেবে তারা ৭০ শতাংশের বসার ব্যবস্থা করেছেন। অধিকাংশ রেস্তোঁরাও সপ্তাহ শেষের বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে ২৫ শতাংশ ৭৫ শতাংশ বসার ব্যবস্থা করেছে। আগে ১০০ শতাংশের ব্যবস্থা থাকত। কিন্তু কোভিড  জন্য লোক কম আসায় বসার ব্যবস্থা কমিয়ে দিয়েছিল বার ও রেস্তোঁরার মালিকরা। ১০টার পর নাইট কার্ফু জারি না হওয়ায় সপ্তাহ শেষে ভিড় বাড়বে বলেও আশা করেছেন অনেকে। 

Latest Videos

এক রেস্তোঁরা মালিক তো বলেই ফেললেন যে এই সপ্তাহে যদি ভিড় বাড়ে তাহলে তাদের ইন্ডাস্ট্রি আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কারণ এখনও যদি ভিড় না হয় তাহেল বুঝে নিতেই হবে যে মানুষের করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় এখনও কাটেনি। তাই বাড়ির বাইরে বার হতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। 

তবে কলকাতার বাকি জায়গাগুলি ভিড় বাড়লেও এখনও খরা কাটিয়ে উঠতে পারেনি কলকাতার সেক্টর ফাইভ। আইটি নির্ভরশীল এই এলাকায় এখনও 'অলিখিত কোভিড বিধি ' জারি রয়েছে। অধিকাংশ আইটি সেক্টরেই ওয়ার্ক ফর্ম হোম চলছে। তাই সেক্টর ফাইভে যেসব রেস্তোঁরা আর বারগুলিতে এখনও তেমনভাবে জমে ওঠেনি। 

প্রায় ২ বছর ধরে কোভিড মহামারির কারণে থকবে গিয়েছিল দেশের তথা রাজ্যের হোটেল ইন্ডাস্ট্রি। লোকসানের খাতায় টাকার অঙ্ক ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। তবে বর্তমানে সংক্রমণ কমায় কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে এই শিল্প। তাই দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তেমনই চাইছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মালিক ও কর্মীরা। কারণ এখনও যদি  এই শিল্পে প্রাণ না ফেরে তাহলে আরও সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
'পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডারা সর্বত্র ভোট লুট করেছে' মারাত্মক অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya