দিল্লির হিংসার আঁচ এসে পড়ল কলকাতায়। আগেভাগেই কলকাতার সব থানাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বুধবার সকালের পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্য়েই দিল্লিতে সিএএ বিরোধী হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০জন। বেগতিক দেখে সেনা নামানোর আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কলকাতার স্ট্রিট ফুড দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ, দাবি ডেপুটি মেয়রের
আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০-র বেশি। পরিস্থিতি সামলাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে৷ কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজধানীর। এবার দিল্লির আঁচ যাতে কলকাতায় না পড়ে তাার জন্য সতর্কতা নেওয়া শুরু করল পুলিশ প্রসাসন। ইতিমধ্যেই কলকাতার সব থানাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা৷ ডেপুটি কমিশনার-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারদেরও সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতার স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। পাশাপাশি ধর্মীয় সংগঠনগুলির সঙ্গেও পুলিশকে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
কুকুর মাটি সরাতেই যুবতীর দেহ, ভাটপাড়ায় লাশ ঘিরে উত্তেজনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগমনের দিন থেকেই অশান্ত দিল্লি৷ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নেমে প্রতিবাদ থেকেই ছড়িয়েছে হিংসা। বিরোধীদের অভিযোগ,বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর হুমকির পরিণতি এই হিংসা। যদিও বিজেপির দাবি, মিম-এর নেতা ওয়ারিস পাঠান-এর প্ররোচনামূলক ভাষণের জের গুণছে দিল্লি। যেখানে ১৫ কোটি মুসলমান ১০০ কোটি হিন্দু ওপর ভারী বলে দাবি করেছেন এই বিতর্কিত নেতা।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ কখনও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কখনও দোকান-বাজারে ঢুকে ভাঙচুর চলেছে। টায়ার মার্কেটে আগুন লাগানোয় দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলছে আগুন। বহু দমকলের গাড়ি এসেও আগুন নেভাতে সম্স্যায় পড়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে এমনই পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য়। তিনদিন ধরে সিএএ প্রতিবাদে আগুন জ্বলেছে বঙ্গে। যাতে বহু কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। নতুন করে সেই হিংসা রাজ্য়ে দেখতে চান না মুখ্য়মন্ত্রী।
অমিত শাহের সঙ্গে আসতে পারেন নাড্ডা, কলকাতার কর্মীরাই শহিদ মিনারের সভায়
ইতিমধ্য়েই রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিল্লিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ভারতবর্ষ শান্তির দেশ৷ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলাই দেশের পরম্পরা৷ এদেশে হিংসার কোনও স্থান নেই৷ দেশবাসী শান্তি চান৷ সবাইকে আবেদন জানাচ্ছি, শান্তি বজায় রাখুন৷