বাজেট অধিবেশনে কোন কোন ইস্যুতে সরব হবে তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী রণকৌশল কী হবে, সবকিছু নিয়েই দলের সাংসদদের পাঠ দেবেন দলনেত্রী। বাজেট অধিবেশনে দলের অবস্থান কী হতে চলেছে, মূলত ফোকাস থাকবে তার ওপরেই।
চলতি বছরে ৩১ জানুয়ারী থেকে ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবারের বাজেট অধিবেশন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের (Financial Year 2022) জন্য সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশন (Budget session) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সংসদের অধিবেশন ৩১শে জানুয়ারি উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে। বাজেট অধিবেশনের আগে তৃণমূলের বিরোধিতার সুর বেঁধে দিতে চাইছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মমতা।
বাজেট অধিবেশনে কোন কোন ইস্যুতে সরব হবে তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী রণকৌশল কী হবে, সবকিছু নিয়েই দলের সাংসদদের পাঠ দেবেন দলনেত্রী। বাজেট অধিবেশনে দলের অবস্থান কী হতে চলেছে, মূলত ফোকাস থাকবে তার ওপরেই। তবে সরাসরি নয়। সাংসদদের ক্লাস ভার্চুয়ালি নেবেন মমতা। কালীঘাটের বাড়িতে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। জানা গিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা-দুই কক্ষের সাংসদরাই উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে।
এদিকে, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে তৃণমূল কোন রণকৌশল নিয়ে এগোবে, সেটাও আলোচনা হতে পারে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রণকৌশল কি হবে তৃণমূলের, তা দেখার। কারণ ঘাসফুলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমীকরণ কোন বাঁক নেয়, সেদিকে জাতীয় রাজনীতির অনেক হিসেব নিকেশ লুকিয়ে রয়েছে। বাজেট অধিবেশনেও কংগ্রেসের থেকে তৃণমূল দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেবে, নাকি একসঙ্গেই বিজেপি বিরোধিতায় সরব হবে, সে সংক্রান্ত নির্দেশও বৃহস্পতিবার দলের সাংসদদের দিয়ে দিতে পারেন মমতা।
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে প্রতিটি অর্থবর্ষ। ২০২২ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নির্মলা সীতারামন চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি পূর্ণ-বছরের বাজেট পেশ করবেন। অধিবেশনের প্রথম অংশ ১১ই ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর একমাসের বিরতির পর অধিবেশনের দ্বিতীয় অংশটি ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ৮ই এপ্রিল শেষ হবে। উল্লেখ্য যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ২৯শে নভেম্বর শুরু হয়েছিল। ২৩শে ডিসেম্বর তার নির্ধারিত শেষের একদিন আগে, ২২শে ডিসেম্বর বুধবার শেষ হয়েছিল।
আসন্ন বাজেটে কোভিড-১৯ মহামারি প্রভাব কাটিয়ে আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে সরকার। এই কারণেই সরকারি বেসরকারি সর্বস্তরের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।