পরম্পরা ও রীতি মেনে মা আজও পুজিত হন মতিলাল শীল বাড়িতে

  • কলকাতার পুরনো পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মতিলাল শীলের পুজো
  • পুজো শুরু হওয়ার পেছনে আছে এক ইতিহাস
  • সেখানকার মা দূর্গারও রয়েছে নানান বিশেষত্ব
  • মতিলাল শীলের বাড়িতেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি
     

debojyoti AN | Published : Sep 6, 2019 12:27 PM IST / Updated: Sep 23 2019, 03:15 PM IST

শরৎ-এর নীল আকাশ, শিউলি ফুলের সুবাস জানান দিচ্ছে পুজো আসছে। পাড়ার ওলিতে গলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঁশ বাধা। সব মিলিয়ে কলকাতায় এক সাজো সাজো রব। আর বেশি দিন বাকি নেই পুজোর। পাড়ার পুজোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বনেদি বাড়ির পুজোর প্রস্তুতিও। শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য মন্ডিত মতিলাল শীলের বাড়ির দূর্গা পুজোর প্রস্তুতিও। ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিবছরই মা-কে বরণ করে নেন তাঁরা। কলকাতার ঐতিহ্যশালী বাড়ি গুলির মধ্যে অন্যতম হল মতিলাল শীলের বাড়ির পুজো।

এই বছর পুজোটি ১৯৭ বছরে পা দিল। তৎকালীন ধনী জমিদার মতিলাল শীল শুরু করেন পুজোটি। মাত্র ৫ বছর বয়সেই বাবাকে হারান মতিলাল শীল। ছোটবেলা থেকেই ছিল আর্থিক অনটন। ধীরে ধীরে তিনি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়াতে থাকেন ব্যবসা। তৎকালীন বেশ কিছু এজেন্সি তাঁকে 'বেনিয়ান' হিসেবে নিযুক্ত করেন। এমনকী ইতিহাসবিদদের মতে এমন কোনও ব্যবসা নেই যাতে তিনি বিনিয়োগ করেননি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উন্নতিতে তিনি ১২ হাজার টাকা দান করেন। বেশ কিছু জায়গায় জমিদারি কেনার পর তিনি দূর্গাপুজো শুরু করেন। মতিলাল শীলের এই পুজোতে সাধারণ মানুষ অংশ নিতে পারতেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তিনি এই পুজো শুরু করেন। এখনও পুজো পরিবারের পরম্পরা ও রীতি মেনে। এই বাড়িতে আগে কীর্তন, যাত্রাপালা হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে সবই। তখনকার দিনে শীল বাড়ির মহিলারা নানা রকম গহনা পরতেন, নথ ও পায়ের মল ছিল প্রধান। এছাড়া এর আগে ৪০ জন বাহক কাঁধে করে ঠাকুর বির্সজনের জন্য নিয়ে যেতেন তবে ৪৬-এর দাঙ্গার জন্য বদলেছে সেই নিয়ম।    

থিম পুজোর ছেড়ে যদি নিতে চান বনেদি বাড়ির পুজোর স্বাদ, তাহলে আপনাকে আসতে হবে মতিলাল শীলের বাড়ির পুজোতে। বাড়িটির ঠিকানা হল- ৬০, কলুটোলা স্ট্রীট। 

Share this article
click me!