প্রয়াত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু। শুক্রবার রাত ১০.২০ নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শনিবার সকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন- অরূপ বিশ্বাস, সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, ডেরেক ওব্রায়েন আরও অনেক বিশিষ্ট জনেরা।
আরও পড়ুন, তরুণীর গোপন মুহূর্তের ছবি ছড়ানোর শাস্তি কলকাতায়, ২ বছরের কারাদণ্ড যুবকের
এমপি সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানালেন, 'কৃষ্ণাদি এবং আমরা একসঙ্গে লোক সভায় ছিলাম। ভারতের মিনিস্ট্রি অফ এক্সটারনাল অ্য়াফেয়ার্স তার যে পার্লামেন্টারি কমেটি থাকে সেখানের স্ট্য়ান্ডিং কমিটির চেয়ারম্য়ান ছিলেন তিনি। অত্য়ন্ত ভাল বক্তা ছিলেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক পটভূমিতে যে দিন বিদেশ মন্ত্রকের কোনও আলোচনা থাকত, তখন আমরা কৃষ্ণাদিকেই এগিয়ে দিয়েছি। এবং ওনার স্মৃতিশক্তি খুব ভাল ছিল, অনেক বয়েসেও অতীতের কথা তিনি মনে করে বলতেন। কৃষ্ণাদি শিক্ষা-সংষ্কৃতি এবং রাজনীতির জগতের অত্য়ন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত একটি নাম।'
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন,' এখান থেকে প্রথমে কৃষ্ণাদিকে শরৎ বোস রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনটে থেকে রাত আটটা অবধি তাঁকে শায়িত করা থাকবে নেতাজি ভবনে। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশশ্মানে। রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কৃষ্ণাদি-র সম্পর্ক অত্য়ন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল। এত মানুষ ওনাকে ভালবাসেন, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে চান, সেই কারণেই তাঁকে নেতাজি ভবনে দীর্ঘসময় রাখা হবে।'
আরও পড়ুন, ব্যর্থ হল সব চেষ্টা, পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত ছাত্র ঋষভের মৃত্যু
সূত্রের খবর, ১৯৩০ সালে বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণা বসু।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এমএ পাশ করেন তিনি। ১৯৫৫ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা শরৎচন্দ্র বসুর পুত্র শিশির চন্দ্র বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রাজনৈতিক জীবনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ৩ বার সাংসদ পদে ছিলেন কৃষ্ণা বসু। একদিকে সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। অপরদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা শরৎচন্দ্র বসুর পুত্র শিশির চন্দ্র বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসু বহুবছর কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যপনা করেছেন।