আসন্ন ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে নবান্নের। এর জেরে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন তিনি জানান যে ঘূর্ণিঝড় যশ নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তর পুরোপুরি তৈরি। শুক্রবার দপ্তরের আধিকারিক ও সিইএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বিশেষ বৈঠক করেন।
এই বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এই জেলাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই জেলাগুলোর প্রতিটি ব্লকে ২৫ তারিখ থেকে তিনটি হাই টেনশন ও ৩টি করে লো টেনশন গ্যাং তৈরি করে রাখা হবে। প্রত্যেক গ্যাংএ ৬ থেকে ৭জন থাকবে।
সূত্রের খবর ১৮৩০৫টি ইলেকট্রিক পোল, ২০৫৫ কিমি তার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিতে। এছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৫ তারিখ থেকে। এই কন্ট্রোল রুমের নং হল- 8900793503 ও 8900793504। এই গ্যাং গুলি বিডিওর নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া হাওড়া, মহেশতলা ও বজবজের ক্ষেত্রে সিইএসসি এলাকায় দুটি করে গ্যাং থানা ভিত্তিক করে থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৬ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের কাছে বার্তা পৌঁছেছে।
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে মে মাসের ২১ তারিখ থেকে প্রতিটি জেলাসদর বা মহকুমায় ও ব্লকে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। যাবতীয় তথ্য সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পাবেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের জন্য প্রয়োজনীয় পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের বাড়ি থেকে নিরাপদে সরিয়ে স্থানীয় স্কুল বা কলেজে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, স্যানিটাইজার, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার কথা জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ ভাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আহত হওয়া মানুষের জন্য হাসপাতালগুলিতে কিছু শয্যা খালি রাখার কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় যশ যে সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যথেষ্ট তান্ডব চালাতে পারে, তা অনুমান করা হচ্ছে। সেই কারণে ইতিমধ্যেই নানাধরনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবার সরকারি আধিকারিকরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন নিজেদের মধ্যে। মহকুমাশাসক রবিপ্রকাশ মিনাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে। পাশাপাশি ব্লক স্তরেও বিডিওরা পঞ্চায়েত প্রধান ও অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন।