মশাল জ্বলতে থাকুক ময়দানে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষে এবার বাঙালদের ভাবাবেগকে কুর্নিশ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটারে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভিন্ন প্রজন্মের ফুটবলার, সদস্য এবং সমর্থকদের শতবর্ষের অভিনন্দন। ভারতের খেলাধূলার জগতে, পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে এটা একটা মাইলস্টোন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মশাল ময়দানকে আজীবন প্রজ্জ্বলিত করে রাখুক।
রাজ্য় রাজনৈতিক মহল বলছে, সিএএ এনে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরনার্থীদের মান দিয়েছেন মোদী। এবার সেই ভাবাবেগকে শতবর্ষে পা দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের মাধ্য়মে
উস্কে দিলেন। রাত দশটার পর এ বিষয়ে টুইট করেন তিনি। ভারতে ভিটে মাটি ছেড়ে আসা হিন্দু বাংলাদেশিদের জীবন সংগ্রামকেই এদিন কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা স্বাভাবাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির কান্ডারিরা।
তবে প্রধানমন্ত্রী টুইট করলেও করোনা আবহে এমনিতেই সেইভাবে অনুষ্ঠান করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের পাওয়া বলতে সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর হাতে প্রকাশিত বিশেষ শতবর্ষ পুস্তিকা। অনারম্বর অনুষ্ঠানে ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় লিগ জেতানো দুই কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুভাষ ভৌমিক। তবে এত কিছুর মধ্যেও ক্লাব সমর্থকদের মনে ছিল একটাই প্রশ্ন, আইএসএলে কী দেখা যাবে মশালের উপস্থিতি ? এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ঘরের ছেলে সুভাষ ভৌমিক বলেন, আইএসএল অপেক্ষা করবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য।
একই সুর শোনা যায় ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের মুখে। তিনি বলেন,ময়াদানি ফল এখনও জানা যায়নি। তবে এখনও আইএসএল খেলার লড়াইয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল। এফএসডিএল এখনও চেষ্টা করে চলেছে।