পেঁয়াজের দামে লাগতে পারে আগুন, কী কারণে আশঙ্কা টাস্ক ফোর্সের

  •  পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে  
  •  ছুঁতে পারে  ১০০ টাকার মাইলস্টোন  
  • দাম কমার এখনই কোন সম্ভাবনা নেই 
  • আশঙ্কা প্রকাশ টাস্ক ফোর্সের সদস্যের  
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 28, 2020 6:22 PM IST / Updated: Oct 29 2020, 12:06 AM IST

 পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। পেঁয়াজের দাম ছুঁয়ে ফেলতে পারে কেজি প্রতি ১০০ টাকার মাইলস্টোন। পেঁয়াজের দাম কমার এখনই কোন সম্ভাবনা নেই। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দ্রব্যমূল্য রোধে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। 

 

 

'ভুল নীতির কারণে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি'


বুধবার তিনি জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির কারণে রাজ্যের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এর এজেন্সি নাবার্ড এর কাছে যে পেঁয়াজ মজুত আছে তা এই সময় বাজারে ছেড়ে দিলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যেখানে বর্তমানে পেঁয়াজ ৭০ কিংবা ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে সেটা কমে আসবে অর্ধেক। কিন্তু কেন  নাবার্ড সেই পেঁয়াজ রাজ্যকে দিচ্ছে না', তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

আরও পড়ুন, সুব্রতকে সরিয়ে সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ, বাংলা বিজেপির সাংগঠনিক পদে বড়সড় রদবদল

 রাজ্যে পেঁয়াজ আসে মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই কলকাতায় এক বাজারে পরিদর্শনে গিয়ে একই ভাবে নাবার্ড এর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য পেঁয়াজের দামে ভর্তুকি দেয় কিন্তু তা সত্বেও রাজ্যকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে পেঁয়াজ আসে মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে। সেখানেও বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত রেখে কৃত্রিম উপায় দাম বৃদ্ধি করতে চাইছে। তার ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বাংলায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন পেঁয়াজ না আশা পর্যন্ত এখনই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

 

 

আরও পড়ুন, বরিশা ক্লাবের পরিযায়ী দুর্গা মায়ের বিসর্জন হবে না, সংরক্ষণের নির্দেশ মমতার

 

'ভিন রাজ্যের উপরে ভরসা বাংলার'

'আমাদের রাজ্যে সারা বছর মোট পেঁয়াজের চাহিদা থাকে ৯ লক্ষ মেট্রিক টন। যদিও আমাদের রাজ্যেই পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় প্রায় ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু, সেই পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় খুব কম দামেই তা বিক্রি করে দেয় বাংলার চাষীরা। সেই কারণে বছরের এই সময়ে অন্য রাজ্যের উপরে ভরসা করে থাকতে হয় বাংলাকে', বলে জানান তিনি।

Share this article
click me!