রাজ্যের বিরুদ্ধে 'নৈতিক জয়', বিকাশ ভবনে ধর্নায় বসার অনুমতি পার্শ্ব শিক্ষকদের

Published : Nov 10, 2019, 06:19 PM IST
রাজ্যের বিরুদ্ধে 'নৈতিক জয়', বিকাশ ভবনে  ধর্নায় বসার অনুমতি পার্শ্ব শিক্ষকদের

সংক্ষিপ্ত

  দীর্ঘ টাল বাহানার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে শিঁকে ছিড়তে চলেছে সোমবার থেকে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারবেন পার্শ্বশিক্ষকরা এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা  হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ  কী কারণে এতদিন  ধর্নায় বসতে পারছিলেন না তাঁরা

দীর্ঘ টাল বাহানার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে শিঁকে ছিড়তে চলেছে। সোমবার থেকে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারবেন পার্শ্বশিক্ষকরা। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা  হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। প্রথমে ৪৮ হাজার পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে বসার কথা ছিল শিক্ষকদের। পরে প্রশাসন আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় ৭ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে ধর্নায়  বসার কথা বলে শিক্ষকদের সংগঠন। কিন্তু সেবারও পুলিশের তরফে অনুমতি মেলেনি। শেষে  হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় মিলল অনুমতি।  

রবিবার বিকাশ ভবনের ১০০ মিটার দূরে শর্তসাপেক্ষে ধর্নায় বসার অনুমতি পেলেন মাত্র ৩০০ জন পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষিকা। বাকিদের ক্ষেত্রে ধর্না, অবস্থানে বসতে হবে সেন্ট্রাল পার্কের পাশে বিধান চন্দ্র রায়ের মূর্তির কাছে। শিক্ষক, শিক্ষিকাদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে  বলা হয়েছে। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই শিক্ষক, শিক্ষিকাদের প্রতি যেন বেপরোয়া মনোভাব দেখানো না হয়৷ আর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আদালত মৌখিকভাবে জানিয়েছে, ওই শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করুন।  তাদের দাবি দাওয়া ন্যায্য হলে তা যেন বিবেচনা করা হয়। কারণ ওই শিক্ষকরা রাজ্য সরকারের হয়েই কাজ করেন ৷ এছাড়া, ধর্নাকারীদের এবং রাজ্য সরকার দু'পক্ষকেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে আগামী বুধবার কোর্টের সামনে পেশ করতে বলা হয়েছে ৷ রবিবার হাইকোর্টে স্পেশাল বেঞ্চ বসে। এদিন এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চ। 

ভাতা নয়, তাদের বেতন কাঠামোয় আনার দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে ওয়াই চ্যানেলে প্রায় ৪৮ হাজার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষিকা ৭ দিন ধরে ধর্না অবস্থানে বসতে চেয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে আবেদন জানিয়েছিল। অনুমতি না পেয়ে তারা হাইকোর্টে আসেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বিকাশ  ভবনের ওয়াই চ্যানেলের পরিবর্তে ১০০ মিটার দূরে ধর্নায় বসার অনুমতি দেন এবং রাজ্যের সঙ্গে বসে বিষয়টি ঠিক করতে বলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। ৪৮ হাজারের পরিবর্তে ৭ হাজার জন ধর্নায় বসতে চাইলেও পুলিশ সাড়া দেয়নি। ফের তারা আদালতে আসেন। তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ১১ নভেম্বর থেকে সাতদিন ধরে তাদের ধর্নায় বসার অনুমতি দেন। 

কিন্তু রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আসে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পেশ্যাল কোর্ট বসিয়ে রবিবার এই মামলার শুনানি করায়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল(এজি) কিশোর দত্ত বলেন, বিকাশ ভবনে আরও অফিস রয়েছে। সেখানে ৪-৫ হাজার জনকে ধর্না, অবস্থানে বসার অনুমতি দিলে অন্য অফিসের কর্মীদের অসুবিধা হবে ৷ তাই পুলিশ অনুমতি দেয়নি ৷ তখন  মামলাকারী শিক্ষকদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ ওই শিক্ষকদের সঙ্গে এমনই অযৌক্তিক কথা বলেছে যে তা মানা যায়নি ৷ এছাড়া, রাজ্য সরকার বলেছে, বিকাশ ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে ৷ প্রশ্ন হল, সারা বছর কি ১৪৪ ধারা জারি রাখা যায়? এছাড়া বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক শিক্ষিকারা বসে তাদের দাবিদাওয়া পৌঁছতে চেয়েছিলেন অফিসারদের 'কানে' তুলতে। যেটা দূরে বসলে করা সম্ভব নয় ৷

PREV
click me!

Recommended Stories

মেসি-কাণ্ডে কলকাতাকে বদনাম করার চেষ্টা! জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
'নবান্ন কাছে থাকলে দিদির আজ খবর ছিল', মেসি-কাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ অধীরের