স্কুল খোলার দাবিতে একের পর এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরাতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এক স্কুল শিক্ষক। এই মামলার শুনানি শুক্রবার।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ (School-College)। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমিতের (Daily Corona Cases) পরিমাণ অনেকটাই নিম্নমুখী। পাশাপাশি একাধিক রাজ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ। তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (Educational Organization) খুলে দেওয়া হয় তার জন্য পথে নামছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন (Student Organization)। এছাড়া এই দাবিতে একের পর এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। আর স্কুলছুট পড়ুয়াদের (School Dropout Student) ক্লাসে ফেরাতে বৃহস্পতিবার আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আর এই মামলা দায়ের করেছেন এক স্কুল শিক্ষক (Teacher)।
মামলাকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে বহু পড়ুয়াই আর পড়াশোনা করছে না। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে অনেকেই। ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। আবার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় অনেক পড়ুয়াই অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। এই সব কারণেই স্কুলছুটদের সংখ্যা বাড়ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন ইছাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্য। সেই কারণেই স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতেই এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে কলকাতা-সহ জেলায় বিক্ষোভ, আন্দোলনকারীদের আটক করল পুলিশ
এদিকে রাজ্যে স্কুল খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) সামনে বিক্ষোভ দেখায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি (ABVP)। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায়। রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবিভিপি সমর্থকরা। এর আগে এদিনই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইও (SFI) এই একই দাবিতে সরব হয়ে ওঠে। ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ওই একই জায়গাতে আন্দোলন করে দুটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। একের পর এক ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর। মিছিল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
অন্যদিকে, সোমবারই পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালু করেছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে জানান, সব স্কুলই ধাপে ধাপে খোলা যাবে। রাজ্য সরকার স্কুল খোলার পক্ষেই। আসলে তারা সবদিক বিবেচনা করে তারপরই স্কুল খুলতে চায়। স্কুল খোলার পর যাতে না তা বন্ধ করে দিতে হয় সেই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে নিতে চাইছে তারা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।