ঘূর্ণিঝড়ের পর বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় পাঁচদিনে পা রেখেছে বাংলা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। শুরু হয় বিক্ষোভ। যার জেরে এবার কলকাতার একাংশে বিদ্য়ুৎ ফিরে এসেছে জানিয়েছে সিইএসসি ও ডব্লিউবিপিডিসিএল। আবার যে অংশে এখনও বিদ্য়ুৎ পরিষেবা ফেরেনি সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা হচ্ছে, জানাল সিইএসসি।
আরও পড়ুন, করোনা রুখতে সতর্কতা, কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান পিছোতে আর্জি রাজ্য়ের
শহরের যে সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানাল সিইএসসি। জেনারেটর চালিয়ে সচল করা হচ্ছে পাম্পিং স্টেশনও। লকডাউনের জন্য কর্মীদের ঘাটতির ফলে কাজে প্রভাব পড়েছে তবে বাইরে থেকে লোক নিয়েও কাজ চলছে। ১৫ টি জায়গায় ইতিমধ্যেই পরিষেবা ফেরত এসেছে, জানালেন সিইএসসির অধিকর্তা।
আরও পড়ুন, আমফান নিয়ে অতিরঞ্জিত হিসেব দেবেন না,ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজ্য়পালের
উল্লেখ্য়, সিইএসসি সূত্রে খবর, শহরের কোথায় কোথায় বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে তার তালিকা মিলেছে। জানানো হয়েছে, যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণি, শীলপাড়া, লেকটাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজার, রাস বিহারী কানেক্টর, বিবি চ্যাটার্জি রোড এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড জানিয়েছে, সল্টলেক ও নিউটাউনে ফিরেছে বিদ্যুৎ। স্বাভাবিক হয়েছে বাগুইআটি, তেঘড়িয়ার একাংশের বিদ্যুৎ পরিষেবা। কেষ্টপুর, বাঁশদ্রোণীর একাংশেও ফিরেছে বিদ্যুৎ। বারাসাত, গড়িয়ার একাংশেও বিদ্যুৎ পরিষেবা এখন স্বাভাবিক হয়েছে। জেলায় কাঁথি, তমলুক, এগরার একাংশে , কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট, গয়েশপুর ও কল্যাণীর মতো বহু জায়গায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় আমফান এক করলেও রাজনৈতিক দূরত্ব জারি, বাংলার আকাশ পথে মোদী-মমতা