নিখোঁজ রাজীব কুমারের দেখা মিলল আলিপুর কোর্টে। আজই জামিন নেওয়ার শেষ দিন তাই কোর্টে রাজীব। প্রায় এক মাস লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন রাজীব। রাজীবের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
প্রায় একমাস পর প্রকাশ্যে এলেন রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমার। আলিপুর আদালতে আজ তিনি আত্মসমর্পণ করেন। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সকাল ১১ টা নাগাদ আসেন তিনি৷ বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সামনে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে আদালত থেকে জামিনও মেলে তাঁর। নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চ আদালত কোনও ব্যক্তিকে আগাম জামিন দিলে সেই ব্যক্তিকে নিম্ন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে হয়৷ সেই অনুযায়ী, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে গত মঙ্গলবার আগাম জামিন পাবার পর এদিন রাজীব কুমার প্রকাশ্যে আসেন জামিন নিতে।
গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন পান রাজীব কুমার। শর্ত অনুযায়ী, তাঁকে ৫০ হাজারের দুটি সিকিওরিটি বন্ডের বিনিময়ে জামিন নিতে হবে। আদালত জানায়, জামিন পেতে গেলে তাঁর দুজন জামিনদার থাকতে হবে। এদের মধ্যে একজনকে অবশ্যই স্থানীয় হতে হবে এবং কলকাতায় সম্পত্তি থাকতে হবে৷ এখানেই অবশ্য থেমে থাকেনি রাজীবের আগাম জামিনের শর্ত। সিবিআই নোটিশ দিয়ে ডাকলে অবশ্যই যেতে হবে রাজীব কুমারকে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বড়সড় ধাক্কা খায় সিবিআই। কারণ প্রথম থেকেই রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জেরার কথা বলেেছিল সিবিআই। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয়, রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই সিবিআইয়ের। কারণ ওই আইপিএস সারদা তদন্তে শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা করে এসেছেন। তবে ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে এও স্পষ্ট করে দেয়, রাজীব কুমার এই শর্তগুলি না মানলে রাজীবের আগাম জামিন খারিজ করার জন্য সিবিআই আদালতে আসতে পারে।
সারদাকাণ্ডে নথি লোপাটের অভিযোগ রয়েছে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। বার বার তলব করেও গত এক মাস রাজীবের পাত্তা পায়নি সিবিআই। বহুবার তাঁর আবাসনে এমনকী স্ত্রীর হাতে নোটিস ধরানো হয়েছে। তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।